ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় মুশকিল। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন গোটা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বদেশ মূল্যে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ। আর এই বিদেশ অন্য কোন দেশ নয়। আমাদেরই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের মধ্যে রয়েছে একদিকে মরুভূমি, অন্যদিকে বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকৃর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। প্রবাদ আছে, ‘সমগ্র ভারত ভ্রমণ করলে পৃথিবীর অর্ধেক দেখা হয়ে যায়’। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার গোড়াপত্তন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা উচিত। ভারত ঘুরে এসে ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশ্যে পর্যটন বোর্ড ও ভারতীয় ভ্রমণ সঙ্গী গাইডের অবলম্বনে লিখেছেন রোটা. মো: রিয়াজ উদ্দিন (পূর্ব প্রকাশের পর) প্রাচীন বাংলার রাজধানী তথা খ্রিপূ কালের বন্দরনগরী তাম্রলিপ্ত-আজকের তমলুকও বেড়িয়ে নিতে পারেন চলার পথে। এই তমলুকই ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শহীদ হন মাতঙ্গিনী হাজরা। নানান কিংবদন্তিতে ঘেরাওড়িশি শৈলীতে বৌদ্ধরীতিতে মাকড়া পাথরে গড়া তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে প্রাচীন তারামূর্তি রয়েছে। ব্যাঘৃচর্ম পরিহিত চতুর্ভুজ দেবী শবের উপর আসীন। পৌষ সংক্রান্তিতে বারুণীর মেলা মন্দিরের আর্কষণীয় উৎসব। এছাড়াও মন্দির রয়েছে আরও নানান। রাজবাড়িটিও আজ হেরিটেজ তালিকাভুক্ত। আর আছে শুঙ্গ, মৌর্য, কুষাণ, গুপ্ত, পাল ও মধ্যযুগের পুরাকীর্তির নানান কিছু সম্ভারে সমৃদ্ধ তাম্রলিপ্ত মিউজিয়ম, শহীদ স্মৃতি ভবন ও শ্রীরামকৃষ্ণ মিশণ তমলুকে। থাকারও হোটেল আছে পৌরভবনের কাছে শ্রীনিকেতন, হাসপাতালের কাছে ক্লাসিক লজ ও রূপনারায়ণের কাছে গ্রিণভ্যালী হোটেল ও রির্সোট। মুহুর্মহু বাস যাচ্ছে ১৬ কিমি দূরের মহিয়াদল, আরও ৮ কিমি যেতে গেঁওখালি। লঞ্চে হুগলি নদী পেরিয়ে নুরপুর হয়েও ফেরা যেতে পরে গৃহপানে। দীঘায়-মেচেদা বাসও যাচ্ছে তমলুক হয়ে। তেমনিই তমলুকের ১৬ কিমি দূরে পরিখায় ঘেরা দ্বীপ অতীতের ময়নাগড়-ও বেড়িয়ে নেওয়া যায়। পুব ও উত্তর জুড়ে কংসাবতী, দক্ষিণে কেলেঘাই আর পশ্চিমে চন্ডিয়া নদী। পরিখায় ঘেরা বৌদ্ধ নরপতি মহাবীর লাউসেনের রাজধানী ময়নাগড়ে বৌদ্ধ সঙ্ঘারামও গড়ে ওঠে সেকালে। তবে, অতীত লুপ্ত হয়ে আজকের ময়নাগড় খ্যাত রাসমেলার জন্য। রাসপূর্ণিমার প্রতি রাতে (৭দিন ব্যাপী) শ্যামসুন্দর জিউ আসেন আলোয় ঝলমল সুসজ্জিত নৌকায় চড়ে গড় থেকে রাসমঞ্চে। যাত্রীও আসেন দূর-দূরান্ত থেকে শ্যামসুন্দরের শোভাযাত্রার সাথে অতীত রোমন্থন করতে। থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই ময়নাগড়ে-নিকটতম হোটেল তমলুকে মেলে। সরাসরি যাত্রায় হওড়া থেকে ট্রেনে মেচেদা (৫৯ কিমি) পৌঁছে বাসে শ্রীরামপুর থেকে (২৬ কিমি) হয়ে চলায় দূরত্ব কশে। শ্রীরামপুর থেকে ১ কিমি দূরে ময়নাগড়। হাওড়া রেল স্টেশন থেকে বাসও যাচ্ছে ৯২ কিমি দূরের শ্রীরামপুরে। ঘন্টা তিনেকের পথ। দিনে ফেরাও যায় ময়নাগড় বেড়িয়ে কলকাতায়। ঝাড়গ্রাম/ কাঁকড়াঝোড় হাওড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ট্রেন যাচ্ছে আড়াই ঘন্টায় ১৫৫ কিমি দূরের ঝাড়গ্রাম। ৫-৬ ৫য় ইস্পাত এক্স, শালিমার থেকে ১৫-০০টায় লোকমান্য তিলক এক্স, হাওড়া থেকে ১৭-৩০এ স্টিল এক্স, ২১-৩৫এ হাওড়া-কোরাপুট, ২২-২০এ হাতিয়া এক্স যাচ্ছে হাওড়া থেকে খড়গপুর/ঝাড়গ্রাম/ঘাটশিলা হয়ে টাটা। আর যাচ্ছে ২-২৫ থেকে ২৩-৫০এ নানান লোকাল ট্রেন হাওড়া থেকে খড়গপুর/মেদিনীপুর। লোকাল ট্রেনে আড়াই ঘন্টায় খড়গপুর পৌঁছে ৫-৩৫, ৯-১৫, ১৫-১৫, ১৮-২০, ২১-০০টায় খড়গপুর-টাটা/ঘাটশিলা মেমু প্যা ট্রেনে ৩/৪ ঘন্টায় ঝাড়গ্রাম চলা যেতে পারে। এক্স ট্রেন থেকে সময়ে আধিক্য লাগলেও ভাড়ায় সাশ্রয় মেলে। ঈঝঞঈ-র বাসও যাচ্ছে ৮ ঘন্টায় কলকাতার শহীদ মিনার থেকে ১২-০০টায় ছেড়ে কলকাতা-মুম্বাই ঘঐ-৬ ধরে ২৪৬ কিমি দূরে লোধাশুলি থেকে ডানহাতি পথে গড় শালবনী হয়ে ১৪ কিমি গিয়ে ঝাড়গ্রামে। কলকাতায় ফেরে ঝাড়গ্রাম থেকে ৫-০০টায়। আর প্রাইভেট বাস যাচ্ছে হাওড়া স্টেশন থেকে ৫-৩০ থেকে ১৫-২০এ। প্রাইভেট বাস ফেরে৫-৩০এ প্রথম ছেড়ে ১৩-১৫য় শেষ। এছাড়াও বাস যাচ্ছে দীঘা, মেদিনীপুর, খড়গপুর, মুকুটমণিপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বেলপাহাড়ি, তামাজুড়ি ছাড়াও মেদিনীপুর জেলার দিকে দিকে ঝাড়গ্রাম থেকে। শাল, পিয়াল, শিমুল, জারুল, মহুয়ায় সাজানো প্রকৃতির সাজঘর ঝাড়গ্রাম। রুখু মাটি শাল-পিয়াল-আকাশমণি-সোনাঝুরির গা বাঁচিয়ে লাল কাঁকুরে পথঘাটে। বসতিও শাল-পিয়ালের ফাঁকে ফাঁকে চলতে ফিরতে পথেঘাটে। জলবায়ু স্বাস্থ্যপ্রদ। ঝাড়গ্রামের জল উদরঘটিত ব্যাধিতে মহৌষধির কাজ করে। ঋতুভেদে বদলও ঘটে প্রকৃতিতে। গ্রীষ্মের দিনগুলিতে মহুয়ার মৌতাত বাতাসকে ভারী করে তোলে। বর্ষায় মঞ্জরী ধরে শালের শাখে শাখে। ঝরঝর মুখর বাদল দিরে রিমঝিম তান- সেও যেন মৌতাত ধরায় ঝাড়গ্রামের মাধুর্যে। চাঁদনী রাতে মাধুর্য বাড়ে আরও বেশি। প্রকৃতিই মুখ্য দ্রষ্টব্য ঝাড়গ্রামে। তবে, উচিত হবে ঝাড়গ্রামের সঙ্গে জুড়ে দিনভর প্রোগ্রামে জিপ বা গাড়িতে ১০০০-১২৫০ টাকায় জঙ্গলমহল-জামবনি-চিল্কীগড়-গিধনি-বেলপাহাড়ি-কাঁকড়াঝোড়-ঘাঘরা-তারাফেনি ব্যারেজ বেড়িয়ে নেওয়া। রেল স্টেশন থেকে ৩ কিমি দূরে শহরের উপকন্ঠে ঝাড়গ্রাম প্যালেস অর্থাৎ চক মিলানো রাজার বাড়ি। হোটেল বসেছে একতলায়। বিশেষ অনুমতিতে রাজবাড়ি দেখার ব্যবস্থা মেলে। আর আছে চতুর্মুখ শিব, লোকেশ্বর বিষ্ণু, মনসা দেবীর মন্দির। স্বল্পদূরে কিংবদন্তি খ্যাত সবিতার দাসী সাবিত্রী মন্দির। অতীতে মন্দির ছিল পাথরের, বর্তমান মন্দিরটি ১৯২০এ তৈরী। পেটিকায় মানবী দেবী সবিতার কেশও খড়গ পূজিত হচ্ছে আজও। বিগ্রহ হয়েছে চন্দন ও সিন্দুরে। প্রতিদিন ৯-৩০, ১২-৩০ ও সূর্যাস্ত থেকে ২ ঘন্টা খোলা থাকে মন্দির। আর আছে শহর থেকে ৩ কিমি দূরে কৃষ্ণনগরে ১৯৮৩-তে গড়া ৩৪.৫ হেক্টর ব্যাপ্ত ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক তথা মিনি চিড়িয়াখানা। বিশাল এক দিঘীকে ভর করে মনোরম পরিবেশে রূপ পেয়েছে। টিকিট ৪্। আর আছে রঘুনাথপুরের আদিবাসী সংস্কৃতি পরিষদ। ঝাড়গ্রামের বিক্রমজিৎ মল্ল উগাল দেব বাহাদুরের খনন করা রাধানগরে ১০০ একর ব্যাপ্ত বিশাল দিঘী অর্থাৎ কেচেন্দা বাঁধ বা রাজবাঁধ, এরই সামনে মনোরম পরিবেশে সেবায়তন আশ্রম। অতিথিশালাও হয়েছে আশ্র্রমে। চলার পথে আর এক দিঘী মেলাবাঁধ। রিকশায় একে একে দেখে নেওয়া যায় ৫০ টাকায়। রেল স্টেশন থেকে ১০, লোধাশুলির ৫ কিমি দূরে কলকাতার আড়িয়াদহর অজয় ঘোষাল মহাশয়ের শখ ও স্বল্প রূপ পেয়েছে ২০ বিঘা ব্যাপ্ত জঙ্গলমহল, হর্টিকালচার তথা বটানিক্যাল গার্ডেন। রংবেরঙের শতাধিক ধর্মী গোলাপের বাগিচায় নানান বর্ণের গোলাপের সাথে ব্ল্যাক প্রিন্স অর্থাৎ কালো গোলাপ, ক্যাকটাস, অর্কিড, জীবজন্তু, ফুলফল গাছগাছালির জঙ্গলমহল আজ ঝাড়গ্রামে অন্যতম দ্রষ্টব্য। থাকারও ব্যবস্থা মেলে ঔঁহমষব গধযধষ জ ঐ, উ ২০০-৩০০। রেশন নিজস্ব ব্যবস্থায় সঙ্গে নিতে হয়। সিটি বাস যাচ্ছে শহর থেকে। অটোও মেলে, যাতায়াত ১২৫। আর পথেই পড়ে বাস রোডে পাশাপাশি মহারাজ উদ্যান বাটী। মল্ল রাজাদের খাস মহলে ৪০ বিঘা ব্যাপ্ত উদ্যানে জঙ্গলের আদিমতাকে অক্ষুন্ন রেখে প্রকৃতি প্রেমিকদের জন্য মহুয়া ও কাজু বাগানে ঝষনড়হর জবঃৎবধঃ হয়েছে। টেলিস্কোপও বসেছে। আহারেও অভিজাত ও আন্তরিক বাঙালিয়ানা বর্তমান। জঙ্গলমহল থেকে সরাসরি বাসের অমিল হলেও ঝাড়গ্রাম থেকে চিল্কীগড়/গিধনিমুখী বাসে জঙ্গলমহলের পথে ২ কিমি এসে ডানহাতি ১১ কিমি যেতে জামবনি পেরিয়ে আরও ৫ কিমি গিয়ে চিল্কীগড়। রজক অর্থাৎ ধবরদের হারিয়ে উপাধিধারী ধলভূম রাজদের রাজবাড়ি ডুলুং নদী পেরিয়ে চিল্কীগড়ে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রথম গণবিদ্রোহ চুয়াড় বিদ্রোহে শামিল হন রাজা। দেবতাও রয়েছেন নানান রাজবাড়ি চত্বরে। চিল্কীগড়ের প্রশস্তি গড় বা জঙ্গলমহল দুর্গ ও মন্দিরের জন্য। পথ থেকে সরে প্রকৃতির যাদুঘরে অতীতের পঞ্চরতœ মন্দিরটি পরিত্যক্ত হতে ১৩৪৮এ গড় জঙ্গলের মাঝে পিঢ় রীতিতে নতুন করে মন্দির হয়েছে অশ্বারূঢ়া, ত্রিনয়না, চতুর্ভুজা, অষ্টধাতুর জাগ্রতা শাক্তদেবী কনকদুর্গার। দীর্ঘ অতীতে কনক অর্থাৎ সোনার দেবীকেও লুঠ করে ভাস্কর পন্ডিত। স্বপ্নাদিষ্টা ৩০০ বছরের প্রাচীন দেবীও রয়েছেন বেদিতে। অতীতে প্রতি অমাবস্যায় নরবলির প্রথা ছিল। আর আজ ছাগ ও মহিষ বলি হচ্ছে নবমীর রাতে কনকদুর্গা সকাশে। অরণ্য চিরে নিচু দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী চড়–ইভাতির আদর্শ পরিবেশ চিল্কীগড়। থাকারও ব্যবস্থা মেলে মন্দিরের যাত্রী আবাসে। যাতায়াতের পথে জামবনির সন্নিকটে শীতের দিনে কেন্দুয়া গ্রামে (যতীন মাহাতোর বাড়ী) পরিযায়ী পাখির রোজনামচা দেখে নেওয়া যায়। মন্দির রেখে রাজবাড়ি দেখে ৬ কিমি যেতে গিধনি। রেলও আসছে ঝাড়গ্রাম থেকে পরের স্টেশন গিধনি (১৫ কিমি)। হাওড়া থেকে ১৭০ কিমি দূরে পশ্চিমবাংলার প্রান্তভূমি গিধনি। আকাশ জুড়ে ঝাড়খন্ডের বাতাস। শালবন চিরে পথ চলে ডুলুং নদী। অনুকুল ঠাকুরের শিষ্যদের উদ্যোগে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। রাঙাপথের বাঁকে বাঁকে ছোট ছোট গ্রাম, মেটে বাড়িঘর। পুটুশ, বনতুলসী, কুসুম, মহুয়া বনে মুন্ডা, সাঁওতাল, মহালি, শবরদের বাস। ১৯৫৫র ১লা এপ্রিল ২২ হেক্টর বনভূমি ৩ বিটে ভাগ হয়ে নাম হয়েছে তার আমতোলিয়া, কানাইসোল আর গদরাসোল। গিধনি থেকে ১কিমি দূরে নীল আকাশের গায়ে সারস, টিয়া, শালিকের কোলাজ কানাইসোল। কানাইসোল বাংলোর অদূরে একদিকে পরিহাটি অপরদিকে চিল্কীগড়। অদূরে দলমা পাহাড়- ভালুক, হাতি, হায়নারা অভিসারে নামে পাহাড়ে থেকে। এ পথে আরও যেতে বেলপাহাড়ি। সরাসরি বাসও পাওয়া যায়। ঝাড়গ্রাম/মেদিনীপুর ছাড়াও দিগি¦দিক থেকে বেলপাহাড়ি, তামাজুড়ি/ঝিলিমিলির। ঝাড়গ্রাম থেকে ৪৫ কিমি দূরে শালে ছাওয়া টিলা টিলা সুন্দর পাহাড়ি। ঝাউ, মহুয়া, পিয়াল, ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুরি, আর শিরীষও ছাতা ধরেছে বেলপাহাড়ির শিরে। সুন্দর নৈসর্গিক শোভার মাঝে সহজ সরল মানুষজন। চোখে পড়ে কনাইসোল পাহাড়ের ভালে টিকলি হয়ে পূর্ণিমার চাঁদ। পাহাড়তলিও ঠিকরে পড়া আলোয় উদ্ভাসিত। মকর সংক্রান্তিতে এলাকা জুড়ে টুসুর উৎসব চলে। দোকানপাট, খাবার হোটেল আছে। সপ্তাহান্তিক ছুটি কাটাবার মনোরম পরিবেশ।বেলপাহাড়ি থেকে লাল সুরকির পথে ৯ কিমি দূরে আর এক স্বপ্নপুরী ঘাঘরা। বাসের চল নেই- জিপ যাচ্ছে। আবার পায়ে পায়ে ট্রেক করেও মিনিট চল্লিশে চলা যায় ঘাঘরায়।
ভাদ্র ১৪২১, সেপ্টেম্বর , ২০১৪