সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

কালের পরীক্ষায় টিকে যাওয়া দৃষ্টিনন্দন ১০ দুর্গ

কালের পরীক্ষায় টিকে যাওয়া দৃষ্টিনন্দন ১০ দুর্গ
জার্মান ভাষাভাষী অঞ্চলের নিরাপত্তায় এক সময় ২০ হাজারের বেশি দুর্গ গড়ে তোলা হয়েছিল। এগুলো ছিল মধ্যযুগীয় শাসকদের শক্তি ও রাজ্যের স্থিতিশীলতার প্রতীক। কালের পরীক্ষায় টিকে গেছে এমন দশটি দুর্গ নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
000-000-008
সাৎসফাই কাসল
নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় পরিখাসহ যে জার্মান দুর্গগুলো খুব ভালভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে সাত্সফাই কাসল একটি। আনুমানিক দ্বাদশ শতকের দিকে এটি নির্মাণ করা হয়। এ দুর্গের চারপাশে রয়েছে গভীর পরিখা, শত্রুকে দূরে রাখার কৌশল হিসাবে যা খনন করা হয়েছিল।
000-000-009
আলটেনা দুর্গ
নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় ৮০০ বছরের পুরনো এই দুর্গেই বিশ্বের প্রথম ইয়ুথ হোস্টেলটি চালু হয় ১৯১৪ সালে। দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকার পর ওই সময়ই নতুন করে নির্মাণ করা হয় এ দুর্গ।
000-000-010
কখেম কাসল
মোজেল নদীর তীরে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সবচেয়ে বড় দুর্গ হলো এই কখেম কাসল। আনুমানিক একাদশ শতকে নির্মিত এই দুর্গ সপ্তদশ শতকে এসে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরে বার্লিনের ব্যবসায়ী লুই রাফেন ৩০০ স্বর্ণমুদ্রায় এই সম্পত্তি কিনে নেন এবং ১৮৭৭ নিও গথিক স্থাপত্যরীতিতে দুর্গটি পুনঃনির্মাণ করেন।
000-000-011
রাইনস্টাইন কাসল
ইতিহাসের পাতায় মধ্য রাইন উপত্যকায় রাইনস্টাইন দুর্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৩২৩ সালে। ষোড়শ শতকে ধসে পড়ার পর স্থপতি কার্ল ফ্রিডরিশ ১৮২৩ সালে প্রুাশিয়ার প্রিন্স ফ্রিডরিশ-কে এই দুর্গের সম্পত্তি কিনে নিতে অনুরোধ করেন। রোমান্টিক যুগে রাইনের তীরে পুনঃনির্মাণ করা প্রথম দুর্গ হলো এই রাইনস্টাইন কাসল।
000-000-012
মার্কসবুর্গ কাসল
রাইনের তীরে ব্রাউবাখ শহরে মার্কসবুর্গ কাসল গড়ে তোলা হয় ১২ শ’ শতকের শুরুর দিকে। এখন পর্যন্ত এর মূল কাঠামো অটুট আছে। মধ্য রাইন উপত্যকায় পাহাড়ের ওপর নির্মিত দুর্গগুলোর মধ্যে একমাত্র্র মার্কসবুর্গই কখনো পরাভূত বা ধ্বংস হয়নি৷ রাইন উপত্যকার এ অংশে প্রতি আড়াই কিলোমিটার অন্তর অন্তর একটি করে দুর্গ ছিল এক সময়। ২০০২ সালে এ এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেস্কো।
000-000-013
বুর্গহাউসেন দুর্গ
আপার বাভারিয়ার বুর্গহাউসেন শহরে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই কাসল কমপ্লেক্স। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী এই দুর্গ চত্বরের দৈর্ঘ্য ১০৫১ মিটার। ১০২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নির্মিত এই দুর্গ বাভারিয়ার ভিটেলসবাখ সাম্রাজ্যের শাসকদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
000-000-014
এটৎস কাসল
এক সময় জার্মানির ৫০০ মার্কের নোটে এই দুর্গের ছবি আঁকা ছিল। ১২ শ’ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এই স্থাপনা জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত দুর্গ। মোজেল নদীর ধারে পাহাড়ের ওপর ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের একখণ্ড পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এটৎস কাসল এখন জার্মানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র।
000-000-015
নুরেমবার্গ কাসল
মধ্যযুগে নুরেমবার্গ কাসল ছিল জার্মান সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাসাদ। রোমান সাম্রাজ্যের শাসকেরা একশ বছরেরও বেশি সময় এ প্রাসাদে বসবাস করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও পরে মূল স্থাপনাটির আদলে গড়ে তোলা হয় বর্তমান দুর্গটি।
000-000-016
হোয়েনসলার্ন কাসল
হোয়েনসলার্ন বংশের শাসকরা জার্মানি শাসন করেছেন ১৮৭১ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত। তাদেরই একজন ১৮৫০ সালে পিতৃপুরুষের ভিটায় এই দুর্গ নির্মাণ করেন। বাডেন ভুর্টেমব্যার্গে পাহাড়ের ৮৫৫ ফুট ওপরে হোয়েনসলার্ন দুর্গের অবস্থান।
000-000-017
ভার্টবুর্গ কাসল
ভার্টবুর্গ কাসলকে কেউ কেউ জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ বলে থাকেন। মধ্য জার্মানির আইজেনাখ শহরে ১০৬৭ সালে এ দুর্গ নির্মাণ করা হয়। রোমান সম্রাটের কোপানল থেকে বাঁচতে ১৫২১ সালে এই দুর্গেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্যাথলিক সাধু মার্টিন লুথার। এখানে বসেই তিনি জার্মান ভাষায় নিউ টেস্টামেন্টের অনুবাদ করেন। ১৯৯০ সালে ইউনেস্কো ভার্টবুর্গ দুর্গকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন