আপনি
নিশ্চয় জানেন বাংলাদেশের সুন্দর বনের বাঘ সাফারি এখন ব্যাপক জনপ্রিয় ,
নৌকায় নদী ভ্রমণ ও তেমনি উত্তেজনাপূর্ণ অথবা পুরানো ঢাকার অলিগলিতে
লোমহর্ষক রিকশা ভ্রমণ ? এসবের মাঝে আপনার অপেক্ষায় আছে বাংলার লুকিয়ে
থাকা রত্ন সমূহ , গেছেন কখনো গুপ্ত ধনের খোঁজে ?
বাংলাদেশকে যারা ইন্ডিয়ানা জোন্স হিসেবে উপভোগ করতে চান চলে যেতে পারেন দেশের এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুপ্ত ধনের খোঁজে ।
বাংলাদেশকে যারা ইন্ডিয়ানা জোন্স হিসেবে উপভোগ করতে চান চলে যেতে পারেন দেশের এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুপ্ত ধনের খোঁজে ।
মুক্তগাছা রাজবাড়ী , বাস্তব জীবনের জঙ্গলের বই:

ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেমন হয় আপাত দৃষ্টি
এটা কে তেমন কিছু ই মনে হতে পারে । রুপকথার গল্পের কোন অধ্যায়ে ঢুকে গেছেন
ও মনে হতে পারে । কিন্তু এটা তেমন কিছুই না এটা একটা পুরানো রাজ প্রাসাদ
যা আশে পাশের গাছ পালায় ছেয়ে প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে । ডিজনির অতি
জনপ্রিয় কোন কাহিনির কোন কল্পিত প্রাসাদ এটি নয় । সঠিক কোন ট্যুর প্ল্যান
হলে , আপনি যদি অবাঙালি হয়ে থাকেন চিন্তার কিছু নেই ইংরেজী ভাষায়
আপানার গাইড আপনাকে পুরো প্রাসাদ ঘুরে দেখাবে এবং এর অনেক গল্প ও জানিয়ে
দিবে ।
বাস এ ময়মনসিংহ যেতে হবে এরপর পথ নির্দেশিকা অনুযায়ী শুধু চলা ।

মহেশখালী দ্বীপ , শান্ত সৌন্দর্য
ছোট ছোট গ্রামে ঘেরা হিন্দু র বৌদ্ধ দের মন্দিরে এ ঘেরা এ দ্বীপ আপনাকে দিবে কক্সবাজারের ব্যস্ত বীচ থেকে পালিয়ে এসে শান্ত পবিত্র এক অনুভূতি । কাঠের ছোট জেটি তে জলাভূমির দিকে বইতে থাকা বাতাস কে সঙ্গি করে নৌকায় উঠে বসুন সাহস করে যা আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে র ভাবতে থাকবেন কবে এই ভয়ংকর উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রা শেষ করে দ্বীপে পৌছুবেন । ভাগ্যবান হলে পেয়ে যেতে পারেন মাছ ধরার বড়সড় নৌকায় চড়ার । বিশাল এসব নৌকায় চড়ে আপনি যেতে পারেন বিশাল মাছের বাজারে যেখান থেকে কক্সবাজারের দামী হোটেল গুলোতে মাছ সরবরাহ করা হয় এরপর দেখতে পাবেন বিশাল বরফের কল , বিশাল বিশাল সাইজের বরফ তৈরী হচ্ছে মাছ সংরক্ষণে ।
নৌকায় কক্সবাজার থেকে একমাত্র বাহন মহেশখালী যাওয়ার ।
গয়ালদি মসজিদ ,ঢাকার অদূরে

এখনো টিকে থাকা বাংলার প্রাচীনতম মসজিদ এটি । প্রাচীন পানাম নগর এ ঘেরা এই মসজিদ উনিশ শতকের নিদর্শন , এই নগরী আগেকার দিনের ধনী হিন্দু দের নগর ছিল । এই মসজিদ পরিত্যক্ত এখান র এখানে প্রার্থনার পবিত্র ধ্বনি উচ্চারিত হয় না । কিন্তু এটি এখন ও প্রাচীন পানাম নগরের বেড়ানো জায়গা হিসেবে প্রসিদ্ধ । যানজটের ঢাকা থেকে ঢাকার অদূরেই এই নগরে এসে পেতে পারেন প্রাচীন বিশুদ্ধ ঢাকার গন্ধ ।
বাসে চেপে ঢাকা থেকে চলে আসতে পারেন পানাম নগরে এরপর স্থানীয় দের কাছে জেনে নিয়ে হেঁটে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন এই মসজিদে । খুব কম সংখ্যক পর্যটক এই মসজিদের কথা শুনে থাকবেন ।
টেকনাফ গেম রিজার্ভ , দেখা পেতে পারেন বন্য হাতির

বাংলার বনে শুধু বাঘ ই লুকানো থাকে না
বন্য হাতি ও এখানে খুব একটা কম নেই । র খুব কাছ থেকে বন্য হাতি দেখার সুযোগ
আপনি পেতে পারেন বাংলার দক্ষিণের শেষ প্রান্ত টেকনাফ এর পাহাড়ি বনে খুব
অল্প সংখ্যক মানুষ ই তা জানে । বন্য হাতির দেখা খুব কম মেলে এখানে , র
দেখার সুযোগ হলেও হতে পারে বিকাল বেলা যা হয়তো আপনার শেষ বিকাল ও হতে পারে
। কিন্তু পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো কি যে অদম্য নেশা তা ট্রেকার মাত্ররই জানেন
। হয়তো বনে ঘুরে রেড়ানো একমাত্র পর্যটক আপনি ই র আপনার আশেপাশে থাকতে
পারে কিছু আদিবাসী যারা কাঠ কুড়াতে যায় বনে । গাইড ও পেতে পারেন কিন্তু
তারা ইংরেজী জানে না । কিছু কাঠের সাইনবোর্ড ও আছে নির্দেশনা দেয়া কিন্তু
বাংলা না জানলে আপনি তা ও প্রতে পারবেন না । তখন একলা চল নীতি মেনে নিজের
পথ নিজেই খুঁজে নিতে হবে ।
কক্সবাজার থেকে বাসে যেতে হবে টেকনাফ , খেয়াল রাখতে হবে রাস্তার ধারের সাইন বোর্ড এর উপর যেই দেখবেন হাতির ছবি দেয়া সাইনবোর্ড অমনি নেমে পরতে হবে । যা টেকনাফের ১০কিমি আগে , একটু দূরে নামলেও ক্ষতি নেই অটো রিকশা পাবেন ।
কক্সবাজার থেকে বাসে যেতে হবে টেকনাফ , খেয়াল রাখতে হবে রাস্তার ধারের সাইন বোর্ড এর উপর যেই দেখবেন হাতির ছবি দেয়া সাইনবোর্ড অমনি নেমে পরতে হবে । যা টেকনাফের ১০কিমি আগে , একটু দূরে নামলেও ক্ষতি নেই অটো রিকশা পাবেন ।
ভাসমান ধানের বাজার

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যসব ভাসমান
বাজারের তুলনায় বরিশালের কাছে বানারিপাড়া নদীর তীরবর্তী মানুষের বাজার
যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সদাই সবাই নৌকা চালাতে চলাতেই করে থাকেন ।
যদিও সব কিছু ছাপিয়ে এটি মূলত ধানের বাজার , র খুব কম পরিচিত হলেও এটা
বেড়ানোর জন্য দক্ষিণের বাংলার আর্দশ জায়গা । শনিবারের হাট ই সব চেয়ে
বেশি জমে । বাস এ বরিশাল গিয়ে নৌকায় যেতে পারেন এই হাটে ।
সাঙ্গু নদী

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকাভ্রমণ সব চেয়ে
বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে । নৌকা ভ্রমণ আসলেই শুদ্ধ বিনোদন তা যদি হয় কোন
ছোট মাছ ধরা নৌকায় তা হলেও তো কথা নেই জলের সব কলা উপভোগ করা যায় । রুমা
বাজার থেকে বান্দরবান এ বয়ে চলা নদী সাঙ্গু এ নদীতে নৌকা ভ্রমণ এক অনন্য
অভিজ্ঞতা । এক পাশে রয়েছে ধান গাছের মন মাতানো সৌন্দর্য অন্য পাশে রয়েছে
চট্টগ্রামের পাহাড়ি সৌন্দর্য । রয়েছে পাথরের বুকে আছড়ে পড়া নদীর ঢেউ
এর ছলাৎছলাৎ । হয়তো মাঝে মাঝে চোখে পড়ে যেতে পারে বুনো কোন প্রানী । র
দ্বিতীয় কারণ হতে পারে এখানকার উত্তেজনাকর অবস্থা , বিদেশি পর্যটক দের
এখানে দেয়া হয় আর্মস বাহিনীর নিরাপত্তা ।র এখানের নৌকায় ভ্রমনে যে
কাউকেই নিতে হয় অনুমতি । বিনা অনুমতিতে নৌকায় চড়লে বিপদে পরতে হয়
মাঝিটিকেও ।
বাস এ বান্দরবান থেকে যেতে পারেন রুমা বাজার অথবা খোকনঝিরি এরপর স্থানীয় কোন মাঝি কে নিয়ে নৌকা বেয়ে চলে যেতে পারেন বান্দরবান । ৪ ঘন্টা লাগবে খোকনঝিরি থেকে , ৬ ঘন্টা লাগবে রামু বাজার থেকে । নৌকা পাওয়া সহজ হবে যদি আপনি বেছে নিতে পারেন একজন গাইড । বান্দরবান হিলসাইড রিসোর্ট থেকে আপনি পেতে পারেন গাইড ।
বাস এ বান্দরবান থেকে যেতে পারেন রুমা বাজার অথবা খোকনঝিরি এরপর স্থানীয় কোন মাঝি কে নিয়ে নৌকা বেয়ে চলে যেতে পারেন বান্দরবান । ৪ ঘন্টা লাগবে খোকনঝিরি থেকে , ৬ ঘন্টা লাগবে রামু বাজার থেকে । নৌকা পাওয়া সহজ হবে যদি আপনি বেছে নিতে পারেন একজন গাইড । বান্দরবান হিলসাইড রিসোর্ট থেকে আপনি পেতে পারেন গাইড ।
চীনা মাটির পাহাড় , হতে পারে দুঃসাহসিক অভিযানের নাম

শীতল জলের ফিরোজা পানির সুউচ্চ পাহাড়ি
হ্রদ । আসলে চীনা মাটির পাহাড় আসলে ছোট একটা পাহাড় যা থেকে পানির ধারা
বয়ে গেছে পাশের ছোট ধানি জমিতে । ছবি তোলার জন্য এটি একটি আর্দশ জায়গা , র
পিকনিক এর জন্য মনোরম । কিন্তু মূল সমস্যা এর দুরত্ব , মূল ভূমি থেকে তিন
ঘন্টার নৌকা ভ্রমণ অথবা আপনার কাঠের রিকশায় ভ্রমণ করতে হবে ২ ঘন্টা ।
বাসে চেপে যেতে হবে ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরি । সেখানে থাকতে হবে এক রাত , থাকার জন্যে YMCA অথবা YWCA বেছে নিতে পারেন । যারা আপনার জন্যে নৌকার ব্যবস্থা করে দিবে র তা না হলে নিজেই ঠিক করে নিতে হবে রিকশা ।
বাসে চেপে যেতে হবে ময়মনসিংহ থেকে বিরিশিরি । সেখানে থাকতে হবে এক রাত , থাকার জন্যে YMCA অথবা YWCA বেছে নিতে পারেন । যারা আপনার জন্যে নৌকার ব্যবস্থা করে দিবে র তা না হলে নিজেই ঠিক করে নিতে হবে রিকশা ।
Originally posted 2012-11-12 15:46:54. link
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন