বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

ঘুরে এলাম মালয়েশিয়া

ভ্রমন সময় ২০১০-২০১১





যার কারণে মালয়েশিয়া ঘুরার সাহস জোগাড় করলাম এবং উদ্যোগ গ্রহন করলাম তিনি এখানকার ব্লগার "সত্যচারী"। তাঁর মালয়েশিয়া ভ্রমণের পূর্ণ দৈর্ঘ্য গাইড প্রায় মুখস্ত করে এবং প্রিন্ট করে বগলে চেপে ধরে একদিন আমরা সত্যি সত্যি রাত ২ টায় কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ঢুড়ুম করে নামলাম। আহারে কি সোর্ন্দয্য এয়ারপোর্ট---পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখলেই গড়াগড়ি দিবার মন কয়---হিথ্রো এয়ারপোর্টও এতো সুন্দর না।


অর্ধেক রাত হাঁটাহাটিঁ করে এবং বসে কাটিয়ে দিলাম। মাঝখানে ২/৩ বার বাইরেও বের হয়ে হাঁটাহাটিঁ করলাম কারণ এসির প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য হচ্ছিল না। বাইরে অনেক গরম। অনেক সাদা চামড়াকে দেখলাম চিৎ/কাৎ হয়ে দিব্যি সুখ নিদ্রা দিচ্ছে। ২/৩টি হালকা খাবারের দোকান দেখলাম, কিন্তু কিছুই কিনলাম না। তাই বলে পেটে পাথর বেঁধেও রাখলাম না। হালকা খাবার সাথেই ছিল। হালকাভাবে পেট ভরালাম।


ভেতর থেকে বাইরের টেক্সিগুলোকে দেখা যাচ্ছিল। মন বলছিল টেক্সি নেয় কিন্তু "সত্যচারী" ভাইয়ের (আমার বগলে ধরে রাখা) গাইড খাতা বলছিল খবরদার টেক্সি নিস না, ফতুর করে ফেলবে। তাছাড়া এতো গভীর রাতে বের হবার বুকের পাটাও আমার ছিলনা। 

মালয়েশিয়া এসেছি অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে মানে অনেকদিন থেকে একটু একটু করে কোথাও বেড়াতে যাবার উদ্দ্যেশ্য নিয়ে টাকা জমিয়েছি। বরাবরই আমার বেড়ানোর শখ বিশেষ করে বর্হিবিশ্বে। কোত্থেকে যে এই বড়লোকী শখ এলো জানিনা। আমার বোধহয় যাযাবর রক্তের টান আছে। ০+ গ্রুপের রক্তে তো কিছুই থাকার কথা না। তবুও বেড়ানোর এত শখ। :(

”সকল টাকা উসুল করবো” এই মহান নিয়ত নিয়ে মধ্যরাতের কুয়ালালামপুর ইন্টান্যাশনাল এয়ারপোর্টের (KLIA) আগাপাশতলা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম এবং উপভোগ করলাম। মনে মনে ভাবলাম মধ্যরাতে ল্যান্ড করায় ভালই হয়েছে, দিন হলে তো ফুরুৎ করে বেরিয়ে যেতাম, সৌন্দর্য্য এবং রাতের গম্ভীরতা উপভোগ করতে পারতাম না।


ভ্রমন কাহিনী থেকে প্যাঁচাল একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে তাইনা। উপায় নেই চাঁদু, আমার দেহ থেকে ডানা অনেক বড়। তাই আগে ডানা দেখতে হবে তারপর দেহ।

রাত পোহানোর অনেক দেরী। এয়ারপোর্টের এমাথা-ওমাথা করে একটু বসলাম। ৩টা সুন্দরী পুলিশ হাটঁহাটিঁ করছে আমাদের দেশের র‌্যাবের পোশাকের মত তাদের ইউনিফর্ম, টাইট ফিট করে পরা। দেখতে বেশ আবেদনময়ী লাগছে। কিন্তু হায় সুন্দরীদের কোমরে দেখি ভয়াবহ মারণাস্ত্র ! কোমলতার সাথে নিষ্ঠুরতার মিশ্রন দেখে একটা টক ঢেঁকুর উঠলো মনের মাঝে। :-*

ধমাস করে আমার গা ঘেষে একটা হাফ মোটা কালো মেয়ে এসে বসলো, বসেই ল্যাপির ঝাপি খুললো। কালো হলেও রূপবতী অনেক। রূপবতী ফেইসবুকাচ্ছে।


“সত্যচারী” বলেছিলেন KLIA থেকে কুয়ালালামপুর যেতে নতুনরা টেক্সি খুঁজে। ভাড়া বেশি। তাই বাসের সাথে দেখা করার জন্য লিফটে নিচে গেলাম। বাসের আগে ট্রেনের সাথে দেখা হল। KLIA Ekspres ছিমছাম ট্রেন এখান থেকে সোজা নিয়ে ফেলে দিবে কে এল সেন্ট্রাল রেল ষ্টেশনে। সময় লাগবে ২৮ মিনিট। ভাড়া বড় মানুষ ৩৫ এবং ছোট মানুষ ১৫ রিংগিত। চিন্তা করলাম বাসে সময় বেশি লাগতে পারে এমনিতেই অনেক ক্লান্ত, দ্রুত বিশ্রামের ব্যবস্হা করা দরকার। ট্রেনকে পছন্দ করলাম এবং টিকেট করেই ট্রেনে উঠে পড়লাম, ট্রেন দাঁড়ানোই ছিল। যাত্রী খুব কম। ২ মিনিটের মধ্যে ট্রেনের চাকা ঘুরা শুরু হলো।


ট্রেন চলছে খুব দ্রুত। বাইরের দৃশ্য যতটা না সুন্দর তার চেয়ে মনের ভেতর আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বার বার। কোন টেনশন নেই, পিছুটান নেই, রুটিন মাফিক কাজ নেই, আমার ইচ্ছামত ঘুরবো, লাফাবো, নাচবো। এটাই বোধহয় প্রশান্তি, প্রশান্তি, প্রশান্তি----।


বাইরের গ্রামের দৃশ্য একসময় শহুরে দৃশ্যে পরিণত হল। ট্রেন থামলো, নামলাম। এলাম কে এল সেন্ট্রাল ষ্টেশন। বগলে ধরা গাইড অনুযায়ী এল আর টি ট্রেন দিয়ে এখন পাসার সেনি যাবো। হাটঁছি কিন্তু ডানে বামে সামনে পিছে উপরে নিচে কোথাও এল আর টি ৩টি অক্ষর চোখে পড়ছে না। চমৎকার ও বিশালদেহী ষ্টেশন। দেখলেই মনে হয় পাক-পবিত্র-পরিষ্কার। মনে পড়ে গেল কমলাপুরের কথা যেখানে প্রথমেই র্দূগন্ধ দিয়ে বরণ করা হয়
:(( । এই ষ্টেশনের সাথে আরো কয়েকটি অন্য লাইনের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে। বেশ খানিকটা হাঁটলাম তবুও চোখে ধরা দিল না। মুখের ভেতর যতটুকু থুথু ছিল ততটুকুই কোৎ করে গিলে ফেললাম। কারন একদিকে ফাঁপরে গেছি অন্যদিকে খাবারের দোকান। পেটে ক্ষিধা, খাবারের দোকান থেকে পেট ভুলানো খুশবু নাকে ঝাপটা দিচ্ছে। এক দোকানদারকে জিঙ্গেস করলাম এল আর টির কথা ব্যাটা আমার মতই এ বি সি ডি ইংরেজী জানা। মালয় ভাষায় যা বললো তার এক বিন্দুও মগজ পর্যন্ত পৌঁছালোনা। তবে হাতের ভাষা বুঝলাম। অনেক দূর হাঁটার পর পেলাম। ৩ জনের ৩ রিংগিত ট্রেন ভাড়া। আহারে এতো কাছে রাস্তা চিনলে হেঁটেই যেতে পারতাম। ৬৯ টাকা বাঁচতো।

মালয়েশিয়ার এল আর টি ট্রেন এবং ষ্টেশন আমার কাছে লন্ডনের ডি এল আর এর মতই মনে হল। এল আর টি প্রতিটি ষ্টেশনের নাম্বার আছে যেমন KJ14, KJ15 ইত্যাদি। পাসার সেনি KJ14. এই লাইনের ট্রেনের ষ্টেশন কোনটি ভূমিগর্ভে আবার কোনটি ভূমিত্বকে অবস্হিত। ট্রেনে উঠার ২/৩ মিনিটেই এলাম পাসার সেনি। ষ্টেশন থেকে বেরিয়ে রোদ ঝলমল রাস্তায় উঠলাম। মাথার সামনের সার্চ লাইট ২টা ঘুরালাম হোটেলের জন্য। কিছুই ধরা পড়লোনা। ২/১ জনকে জিঙ্গেস করলাম, ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিল।


গেলাম। বয়স্ক মহিলা বসে। রুম দেখলাম তেমন পছন্দ হলোনা। আরেকটা দেখালো একটু পছন্দ হলো। একদিকে গরমে অস্হির অন্যদিকে ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়...পছন্দ না করে উপায় আছে ? অন্য হোটেল খোঁজার শক্তি ও আগ্রহ কোনটাই অবশিষ্ট নেই। ৬০ রিংগিতে রফা হলো এসি রুম। এসি কে তারা বলে এয়ারকোন। সুটকেইস রেখে প্রাকৃতিক সেরে ১০ মিনিটেই আবার রাস্তায় নামলাম।


এবার হবে ভক্ষণ। বগলের গাইড ভুল করে রুমে রেখে এসেছি, সেজন্য ৩ জনে একে অন্যকে দোষাদোষী করলাম খুব দূর্বলভাবে।
X( পেট আর পেটে নাই, কোথায় যেন চলে গেছে। চোখে পড়লো কিং ঝং নাকি কং ঝং নামে এক রেষ্টুরেন্ট, বাছ-বিচার করার সময় কই? ‘সত্যচারী’র গাইড অনুযায়ী একটি খাবারেরও নাম মনে করতে পারলাম না। চেয়ারে বসতেই মেনু দিল। দেখলাম এক জায়গায় লেখা নাসি। নাসি মানে ভাত -- পেয়েছিরে পেয়েছি। গাল ভরে অর্ডার দিলাম ‘নাসি’ কিন্তু ওয়েটারের টুকরা টাকরা কথা থেকে বুঝতে পারলাম নাসির সাথে কী দেবে জানতে চাচ্ছে? বললাম চিকেন। মাথা নেড়ে চলে গেল। কি বুজলো কে জানে? ভাবছি কোন অখাদ্য-কুখাদ্য না আনলেই বাঁচি।

একটু পরেই বাটি ভরতি তৈলাক্ত পানি নিয়ে এলো, বাটিতে কালো রঙের অমসৃন একটা গোটা ভাসছে, সাথে লবণদানীতে সস। আমার সঙ্গী ২ জনের চোখের দিকে অসহায়ভাবে তাকালাম তারা আগে থেকেই আমার দিকে চেয়ে আছে, চোখের ভাষা বলে দিচ্ছে “ খাও তোমার নাসি, ঐ কুখাদ্যে আমরা নেই।”

যা খাইলাম তাতে পেট ভরলো কিন্তু মন ভরলোনা। একটা ম্যাংগো জুসের ক্যান হাতে নিয়া বের হয়ে এলাম।

আগেই বলেছি দেশেই রেখে এসেছি যত ব্যস্ততা আর টেনশন। তাই মস্তিষ্ক খুবই প্রশান্ত। প্রশান্ত মন নিয়ে যা দেখা যায় তাই ভাল লাগে।


একটা পাবলিক ফোনে গুতাগুতি করে এবং ০.৩০ রিংগিত গচ্ছা দিয়েও ফোন করতে পারলামনা । হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখে পড়লো পাসার সেনি সেন্ট্রাল মার্কেট। পাশের জনকে সতর্ক করলাম কিছু কিনতে পারবোনা কিন্তু, শুধু দেখে চলে আসবো।


ভেতরে একপাশে দেখলাম কয়েকজন শেতাংগ পুরুষ-মহিলা একটা চৌবাচ্চায় দু’পা ডুবিয়ে বসে আছে। আর অনেকগুলো ছোট ছোট কালো

মাছ তাদের পায়ে চুমু দিচ্ছে। ফিস থেরাপী। পায়ের ডেড সেলকে “গারা রুফা” নামক মাছ খেয়ে ফেলে । এই মাছকে অনেকে ডক্টর ফিসও বলে।
যাই হোক আমি আর আমার পা’কে মাছ দিয়ে খাওয়ালাম না। আধা ঘন্টার জন্য ২৫ রিংগিত খরচ করতে মন চাইলোনা।
মার্কেটের ভেতর স্কার্ফ, শাল, এ্যান্টিক এবং আরো অনেক হাবিজাবির দোকান। এক জায়গায় দেখলাম কয়েক ধরনের ফল টুকরো টুকরো করে কেটে
বাটিতে নানান ধরনের মশলাসহ চুবিয়ে রাখা হয়েছে। অপরিচিত কয়েকটি ফলের স্বাদ নেয়ার জন্য আমিও ক্রেতার দলে ভিড়লাম। বেশ ভাল লাগলো, কয়েকটি ফলের স্বাদ বড়ই মজাদার। সেখানেই পরিচিত হলাম এক ফ্যামিলির সাথে। তারা ঢাকা থেকে এসেছেন কর্তা ব্যাক্তি চাকুরী করেন বাংলাদেশ বিমানে। দেশে এসে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মোবাইল নং বিনিময় হল।
হাটতে হাটতে কেক পেষ্ট্রির দোকানের সামনে নিজেকে আবিষ্কার করলাম।

আজকে কেক খাওয়া যেতেই পারে কারন আজ আমার “ইয়ে” বার্ষিকী। বেশ লোভনীয় ডিজাইন ও ফ্লেভারের কয়েকটি পেস্ট্রি নিয়ে আসন গাড়লাম। একটু একটু করে কেটে মজা করে খেলাম। আরো ঘন্টা দুই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলাম, বসলাম, মানুষজনকে পর্যবেক্ষণ করলাম। বিশেষ করে তরুনীদেরকে মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি ফ্যাশনমুখী মনে হল। অনেক মেয়েকে দেখলাম মাথায় চমৎকার করে স্কার্ফ বাধা কিন্তু বুক ও নিতম্ব “উদ্ধত মম শির” তাহলে স্কার্ফের কি দরকার, হিসেবটা মিললোনা।

রাতের খাবারের জন্য ভিন্ন একটি রেস্টুরেন্ট খোঁজে বের করলাম, অবশ্য বেশি খুঁজতে হয়নি। জ্বলজ্বলে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হামিদ’স’। পা বাড়ালাম।

অনেক ধরনের মুরগী ভূনা, মাছ, ডাইল, ভাজি ইত্যাদি প্রদর্শন করে রাখা আছে। ‘নাসি’ও আছে। জানা গেল এখানে ৪/৫ জন বাংলাদেশী 'বয়' হিসাবে কাজ করছে। একজনের এই সময় ডিউটি ছিল। খবর পেয়ে এলো। বাড়ী বরিশাল, আছেন ৩ বছর থেকে। তার সাথে পরামর্শ করে ভাত মুরগী নিলাম। খেতে খেতে অন্যান্য মানুষজনকে লক্ষ্য করলাম, কে কি খাচ্ছে? সবার খাবারের পাশেই ড্রিংক্স আছে, বরফ মেশানো চা’ও আছে। আমার কেন জানি হাসি পেল, মনে মনে বললাম, ‘ছাগল নাকি?’ এখানে খেয়াল করলাম বড় গ্লাসে ড্রিংক্স দিলেও তার অর্ধেকই থাকে বরফ। তার মানে ড্রিংক্স অর্ধেক। আমরা লেমন ড্রিংক্স নিলাম বরফ ২ টুকরো দিতে বল্লাম। নরমাল পানিও নিলাম। বেশ সুস্বাদু খাবার। মালয়ী টেস্ট। খাওয়া দাওয়া শেষ। ঢেকুর তোলে বসে আছি বিলের অপেক্ষায়। বিল এলো। 

বিল এলো ১৪ রিংগিত। ঢেঁকুর তুলে রাস্তায় নামলাম। আস্তে আস্তে হেঁটে হোটেলের দিকে রওয়ানা দিলাম।
বিশ্রাম দরকার সারাদিন নিজেকে খুব অত্যাচার করেছি।

হোটেলের ২টা বিছানা বেশ বড় ছিল। একটা বিছানার কাছে জানালা ছিল। আর সেই জানালাটি ছিল এল আর টি ষ্টেশনমুখী। বিছানায় বসেই দেখা যাচ্ছিল উভয়মুখী ট্রেনের আসা-যাওয়া। ট্রেন ষ্টেশনের গোড়ায় আবার বাস ষ্টেশন এবং যাত্রী ছাউনী। সবকিছু ফকফকা দেখা যাচ্ছিল। খুব ভাল লাগছিল দেখতে। তবে বেশিক্ষণ জেগে থাকা গেলনা, আগামীকাল রওয়ানা হব ল্যান্কওয়াইর পথে।


ল্যান্কওয়াইর জন্য বাসের ষ্টেশনে গেলাম টেক্সিতে করে, ভাড়া নিল ২০ রিংগিত। বাস ষ্টেশনের নামটা মনে পড়ছেনা। ল্যান্কওয়াই ২/৩ দিন থাকার নিয়ত তাই সুটকেসের কান টানতে টানতে বাসে উঠলাম। বাস ভাড়া মাথাপ্রতি ৪৫ রিংগিত। ওখানেও বাংলাদেশের মত দালাল রয়েছে, যাত্রীকে বাসে নিয়ে তুলে দিতে পারলে কমিশন পায়। বাসটা বেশ ছিমছাম, পরিষ্কার, এসিযুক্ত এবং দোতলা। দু’তলায় প্রায় সামনেই বসলাম। ১১টায় বাস ছাড়লো। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বাইরের শহর দেখছি।




ল্যান্কওয়াই যাওয়ার পথে বাসে বসে বাইরের ক্লিক
যাত্রার ১ ঘন্টা পরেই নাম না জানা একটা ষ্টেশনে ২০ মিনিটের জন্য থামলো, পিসু পাসু করার জন্য। ২ঘন্টা পর একটা সার্ভিস সেন্টারে থামলো। ওখান থেকে ১৬ রিংগিতের শুকনো খাবার কিনলাম।

বিকাল ৫টা। বাস চলছে তো চলছেই। একটু একটু করে বিরক্ত লাগতে শুরু করেছে। বিকাল ৬টায় একটা বাস ডিপোতে থামলো। আসলে এটা একটা বড় বাস ষ্টেশন। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। বাসে বসেই দেখা যাচ্ছে বিশাল নদী এবং লঞ্চের চলাচল। বাস থেকে ৯৫% লোকই নেমে গেল। এই সময়টাতেই আমি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম। এটাই ল্যান্কওয়াই যাওয়ার ফেরীঘাট কিনা বুঝতে পারছিলামনা। ২/৩ জন যাত্রীকে জিঙ্গেস করলাম যে, এই বাসের শেষ ষ্টেশন এটা কিনা, কিন্তু কেউ সদুত্তর দিতে পারলোনা নাকি ইংরেজী বুঝলোনা! বাসের ড্রাইভারকে জিঙ্গেস করলাম ব্যাটা অদ্ভূত ভাষায় যা বললো তা আমার পৈত দাদাও শুনলে পালাবেন। সাংঘাতিক রকমের টেনশনে পড়ে গেলাম। কী করবো? নেমে যাব না বসে থাকবো?  অনুভব করলাম আমি ঘামতে শুরু করেছি।


 SOURCE LINK

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন