ভিয়েনা আসলে গানের শহর। প্রথম ভিয়েনা দেখার শখ জেগেছিল সাউন্ড অব মিউজিক দেখে। কিন্তু সখটা তীব্র হয় বিফোর সানরাইজ দেখে। আহা! সেই যে ইথান হক আর জুলি ডিপলি ইউরো ট্রেন থেকে নেমে গেলো ভিয়েনায়।
বাংলাদেশের সবুজ পাশপোর্ট নিয়ে যে কোনো ইমিগ্রেশন কাউন্টারে একটু বিরক্ত লাগে। এমন ভাবে পাশপোর্ট দেখে আর তাকায় যে, মনে হয় ফিরে যাই। তবে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে সময় নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সেরা। এতোটা দেরি আর কেউ করে না।
অবাক হলাম ভিয়েনায়। এয়ারপোর্টে এক সেকেন্ড সময় নিল বলা যায়। আরও অবাক হয়েছিলাম আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনে উঠতে। ৫ দিনের জন্য একটা টিকেট কাটলাম ১৪ ইউরো দিয়ে। অথচ টিকেট কোথাও কখনোই দেখাতে হলো না। পাঞ্চ করারও কোনো জায়গা নেই। পুরোটাই বিশ্বাসের উপর। মাঝে মধ্যে নাকি চেক করে, কিন্তু আমার চোখে পড়েনি।

গিয়েছিলাম মূলত ড. ইউনূসের সোশ্যাল বিজনেস সামিট কাভার করতে। বাইরে ড. ইউনূসকে যে কতখারি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেটি ঢাকায় বসে অনুমান করা কঠিন। এটি হচ্ছে রন গারেন ড. ইউনূসের যে বইটি মহাকাশ অভিযানে নিয়ে গিয়েছিলেন সেটি। বইটি সামিটে ড. ইউনূসেকেই তিনি আবার উপহার দেন। তবে অসাধারণ ছিল রন গারেন মহাকাশ অভিযান নিয়ে যে ডকুমেন্টারি দেখালেন সেটি।

প্রথম তিন দিন ব্যস্ত থাকতে হয়েছে সামিটে। ১১ নভেম্বর হঠাৎ করে জায়ান্ট ন্ক্রিনে মনে করিয়ে দিল দিনটি ছিল ১১.১১.১১। আর সময়টাও তখন ১১.১১।

ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে ভিয়েনা অদ্বিতীয়। বাড়িগুলো সেই আগের মতোই। মনে হয় শত বছরের পুরোনো। আর আছে ঘোড়ার গাড়ি। মূলত পর্যটকদের জন্যই এই ব্যবস্থা।

শূণ্যে বসে থাকেন তিনি। সবাই অবাক বিষ্ময়ে দেখে। বিনিময়ে অবশ্যই পয়সা দিতে হয়। অনেকেই পরীক্ষা করে দেখেন নীচে কিছু আছে কীন। পাওয়া যায় না।

শনব্রন প্যালেস। ভিয়েনার এই প্যালেসেই পর্যটক যায় বেশি। ১৪ ইউরো দিয়ে গ্র্যান্ড টুরের একটা টিকেট কিনেছিলাম। তাতে রাজা ও রানীর কমোডও দেখলাম।


রাম্তার পাশে গান। অর্থ আয়ের আরেকটি রাস্তা।

১০টি দেশের ভিতর দিয়ে গেছে দানিউব নদী। তবে পিছনের ছবিটি দানিউব ক্যানেলের। কৃত্তিম খাল। পানি স্থির।

এটা মূল দানিউব। নদী দেখার জন্য এই জায়গাটি তৈরি করে দিয়েছে। অনেক পর্যটক আসে এখানে।

দেওয়াল লিখন। ভিয়েনায় অনেক তুর্কির বাস। আর এখানেও বিরোধ কুর্দীদের সাথে।

ভাবা যায়, ডিসেম্বরে কখনো কখনো এই নদী পুরো বরফ হয়ে যায় (আমারে কেমন লাগতাছে?


দেবদাস, ভিয়েনা স্টাইল

ভিয়েনা আই, সব দেশেই একটা করে এই আই থাকে।

ধনী দেশে লায়নস ক্লাবের কাজ কী? তীব্র ঠান্ডায় শরীর গরম রাখার পানীয় খাওয়ায়, ফ্রী

এই লোক উপরে হা করে তাকিয়ে কী দেখছে?

এলোমেলো বাতাসে যেভাবে কাপড় উড়ছে, তাতে হা তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী?

পুরো ছবিটা এরকম

ভিয়েনায় সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে। (চট্টগ্রামবাসীরা কুথায়?




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন