সন, তারিখ মুখস্ত করা ছাড়া ইতিহাস বেশ সুখপাঠ্য বিষয় বলেই চিরকাল
আমার মনে হয়েছে। রাজা রাণীর বীর গাথা, রাজনীতি, বিশ্বাসঘাতকতা, যুদ্ধ সব
নিয়ে বেশ হই হই ব্যাপার। তাই হয়ত দুর্গের প্রতি আমার এই অমোঘ আকর্ষণ।
লন্ডনের ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’ দুর্গের ইতিহাস এতই বিশাল, অত্যাচারের প্রতীক,
এত নিষ্ঠুর অথচ রোমান্টিক যে একে দুর্গ না বলে গোটা একটা ইতিহাস বই বললেও
অত্যুক্তি করা হয়না। বর্তমানে স্বনামধন্য কহিনুর হীরের অবস্থানও এই
দুর্গের সুরক্ষিত ভল্টে। বছর তিনেক আগে শেখর কাপুরের ‘এলিজাবেথ’ সিনেমা
দেখার পর থেকে আমার একটা প্রবল কৌতুহল জন্মেছিল এই দুর্গের প্রতি – যেখানে
প্রথম এলিজাবেথ কে লোক চক্ষুর আড়ালে গোপনে নদী পথ দিয়ে নিয়ে এসে বন্দী
করে রাখা হয়েছে রাজতন্ত্রের প্রতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে, প্রতি দিন কাটে
মৃত্যুদন্ডের আশঙ্কায়। অথচ এই বন্দী দশাতেই আসে তাঁর রাজসিংহাসনে বসার
সুখবর বৈমাত্রেয় দিদি মহারাণী মেরীর মৃত্যুর পর।
লন্ডন শহরে থেমস নদীর উত্তর তীরে প্রায় হাজার বছরের পুরোনো এই ‘টাওয়ার
অফ লন্ডন’ অবস্থিত। ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’ নামের মধ্যেই একটা গর্ব আছে।
সম্রাট উইলিয়াম ১০৭০ খ্রীষ্টাব্দে থেমসের ধারে যখন এই দুর্গ বানানোর আদেশ
দিয়েছিলেন, তখন তিনি ঠিক এমনটিই চেয়েছিলেন – এই দুর্গ হবে ক্ষমতার
প্রতিভূ স্বরূপ এবং সুরক্ষার প্রথম ও প্রধান ক্ষেত্র। কিন্তু তাঁর
দূরদর্শিতা যে এক হাজার বছর পরেও মানুষকে আকর্ষণ করবে তা বোধহয় সম্রাট
উইলিয়ামের স্বপ্নেরও বাইরে ছিল।নর্মান রাজত্ব থেকে বর্তমানের দ্বিতীয়
এলিজাবেথের সময় এর মধ্যে বহু জল বয়ে গেছে থেমস নদী দিয়ে, তেমনই প্রায়
প্রতিটি রাজা বা রাণীর আদেশে এই দুর্গে কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
মধ্যযুগীয় রাজদের আমালে ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’ ছিল একাধারে বাসস্থান এবং
বহিঃশত্রু থেকে সুরক্ষার প্রথম ধাপ। টিউডর রাজত্বে এই দুর্গের ব্যবহার
হয় মুলত অত্যাচার, শাস্তি, শিরোচ্ছেদের কেন্দ্র হিসেবে। বর্তমানে এখানে
রাণীর রত্নসম্ভার সজত্নে রক্ষিত এবং ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান হিসেবে লন্ডনে
আসা পর্যটকদের অবশ্য দ্রষ্টব্যের তালিকায় পড়ে। ১৯৮৮ সালে ‘ওয়ার্ল্ড
হেরিটেজ সাইটে’র আখ্যা পাওয়া এই দুর্গে প্রতি বছর প্রায় ২লক্ষ কৌতুহলি
মানুষের আনাগোনা।
লন্ডনের দক্ষিণ-পুর্বে অবস্থিত এই দুর্গে লন্ডন টিউব রেল বা বাসে করে
খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। আমাদের বাড়ি এই টিউব রেলের মেট্রোপলিটন
লাইনের পশ্চিমের শেষ স্টেশন। এই লাইনেরই অপর প্রান্তের শেষ যেখানে অর্থাৎ
অল্ডগেট – সেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটা পথ টাওয়ার অফ লন্ডন।
অক্টোবরের এক মেঘলা দিনে সেই হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাসে সাক্ষী হতে
পৌঁছালাম এই দুর্গের প্রবেশদ্বারে। এখানে এসে প্রথম যেটা চোখে পড়ে প্রাচীন
এই দুর্গের প্রেক্ষাপটে বহমান থেমস নদী, তার উপর সুদৃশ্য টাওয়ার ব্রীজ
এবং অপর পাড়ে ইংল্যন্ডের উচ্চতম অট্টালিকা শার্ড সহ বেশকিছু বহুতল বাড়ির
অস্তিত্ব।
টাওয়ারের গেট দিয়ে ঢোকার মুখেই স্বাগত জানায় লাল রঙের সুসজ্জিত পোষাক
পরিহিত রাজরক্ষী। সবুজ ঘাসে ঢাকা পরিখা পেরিয়ে দ্বিতীয় তোরণ বেওয়র্ড।
১০৮৭ সালে প্রথম ‘হোয়াইট টাওয়ার’ নির্মাণের পর প্রায় একশ বছর ’টাওয়ার
অফ লন্ডন’ প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। প্রথম এডওয়ার্ডের আমলে এই পরিখা এবং
চারপাশের উঁচু দেওয়াল তৈরী হয় দুর্গের সুরক্ষার জন্যে। টাওয়ার অফ লন্ডন এ
মোট ২১ টি টাওয়ার আছে যা বিভিন্ন সময়ে এবঃ নির্দিষ্ট কারণে তৈরী
হয়েছিল।
বেওয়ার্ড তোরণ পেরিয়ে চওড়া রাস্তার বাঁ দিকে প্রথমেই রয়েছে ‘বেল
টাওয়ার’। প্রধানত সুরক্ষার কারণে নির্মিত এই টাওয়ার এর নামকরণের মূলে
রয়েছে ‘কার্ফু বেল‘ যা ৫০০ বছর ধরে এখানে বেজেছে বন্দীদের নির্দিষ্ট জেলে
ফেরার নির্দেশ দেবার জন্য। এখনও প্রতিদিন এই ঘন্টা বাজে বিকেল ৫.৪৫ এ
পর্যটকদের জানানোর জন্যে যে ১৫ মিনিটের মধ্যে দুর্গ বন্ধ হবে সেদিনের মত।
রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে ডানদিকে অবস্থিত মধ্যযুগীয় প্রাসাদ। সেন্ট থমাস
টাওয়ার, ওয়েকফিল্ড টাওয়ার এবং ল্যানথর্ন টাওয়ার মিলে এই মধ্যযুগের
প্রাসাদ। ত্রিতীয় হেনরির সময় থেকে প্রথম এলিজাবেথের আগে অবধি রাজপরিবারের
সদ্যস্যরা কোনো না কোন সময় এখানে সাময়িক কালের জন্য হলেও বসবাস করেছে,
তাই তাদের সুখ এবং সুরক্ষার জন্য সব রকাম ব্যবস্থা ছিল এই প্রাসাদে। কিন্তু
সেন্ট থমাস টাওয়ার এ ঢোকার মুখেই আমার চোখে পড়ল ‘ট্রেটারস্ গেট’ – থেমস
নদী থেকে সরাসরি দুর্গে ঢোকার দরজা। এখান দিয়ে এলিজাবেথ সহ বহু
রাজবন্দীদের এই দুর্গে আনা হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই কোনোদিন আর বাইরের আলো
দেখেনি। চারপাশের এত স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে এমন একটা দরজা যেমন বৈপরীত্বের
সাক্ষী তেমনই এই দুর্গের আসল চরিত্র স্পষ্ট হয় এরই মধ্যে। থমাস টাওয়ারে
প্রথম এডওয়ার্ড এর বিলাসবহুল জীবন যাপন এর পরিচয় পাওয়া যায়। আবার
এখানেই ওয়েকফিল্ড টাওয়ারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল সষ্ঠ হেনরিকে এবং তাঁর
নিজস্ব চ্যাপলে প্রার্থনা করার সময় তাকে হত্যা করা হয়। এই দুই টাওয়ার
মধ্যের রাস্তা সবচেয়ে মনকাড়া। এখান থেকে থেমসের ওপর টাওয়ার ব্রীজ এর রূপ
সম্পুর্ণ অন্যররকম সাথে নদীর দক্ষিণ পাড়ের অনেকটা দৃশ্যমান হয় এই
টাওয়ার দেওয়াল এর ওপর থেকে।
ল্যানথর্ন টাওয়ারের বাঁ দিকে সুদৃশ্য হোয়ইট টাওয়ার কিন্তু সেটি আর
একটা দেওয়াল ঘেরা, আর এই দুই দেওয়ালের মাঝে নীচের দিকে তাকালেই হঠাৎ করে
দেখা মেলে মধ্যযুগীয় রাজপোষাক পরা এক দল কর্মচারীর – যারা দুর্গের
ইতিহাসের কোনো ঘটনাকে সযত্নে অভিনয় করে দেখায়। তখন কয়েকশ বছরের ব্যবধান
মুহুর্তে মুছে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এই দুর্গ। ল্যানথার্ন থেকে এবার যাত্রা
পুবের দেওয়াল ধরে। সুরক্ষার জন্য তৈরী পুর্ব দিকের সল্ট টাওয়ার, ব্রড
আ্যরো টাওয়ার, কনস্টেবল টাওয়ার এবং মার্টিন টাওয়ার প্রায় সব কটি টিউডর
রাজত্বে ব্যবহার হয়েছে জেলখানা হিসেবে। স্কটল্যান্ডের রাজা থেকে
ক্যান্টরবেরী ক্যাথিড্রালের যাজক – এরকম অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে বন্দী
করে রাখা হয়েছে এই টাওয়ার গুলোতে। কনস্টেবল টাওয়ার যদিও একসময় প্রধান
কনস্টেবল এর বাসস্থান ছিল। সেই সময় তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তির অন্ত ছিলনা।
লন্ডন ব্রীজ এ পা দিলেই এই কনস্টেবল কে কর দিতে হত, থেমস নদী দিয়ে সামগ্রী
বোঝাই নৌকার একাংশ দিতে হত তাকে, এমনকি নদীতে পরে যাওয়া বা দুর্গের
পরিখার জলে পরে যাওয়া যে কোনো জিনিষ, পশু পাখির একমাত্র দাবিদার ছিলেন
কনস্টেবল। সম্রাট উইলিয়ামের সময় থেকে কনস্টেবল পদটি এখনও অবধি বজায়
রয়েছে এই দুর্গের প্রধান আধিকারিক হিসেবে।
টাওয়ার অফ লন্ডন এর কর্মকান্ড সত্যি বিচিত্র। প্রায় ৬০০ বছর ধরে
চিড়িয়াখানা হিসেবে পশু সংরক্ষণ করেছে এই দুর্গ। সারা পৃথিবী থেকে উপহার
পাওয়া হাতি, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ, ক্যাঙারু – রাজকীয় পশুর যত্নের কোনো
অভাব ছিলনা এখানে। বর্তমানে ঐ সব ঐতিহাসিক বাসিন্দাদের ও মডেল করে রাখা
আছে এই দেওয়ালের পাশে।
পুবের দেওয়াল থেকে মাটিতে নেমে দেখি বিশাল সর্পিল লাইন। এখানে আবার
কিসের লাইন! একটু উঁকি ঝুঁকি মারতেই বুঝলাম এই লাইন চলে গেছে মহামূল্য রত্ন
সংগ্রহশালায়। আর মুহূর্ত দেরী না করে আমরাও লাইনে সামিল হলাম। একটু
এগোতেই দেখতে পেলাম এক রাজকর্মচারী পুরো নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
পাহাড়ায়। আশ্চর্য্য!, যেন চোখের পলকও পড়ছেনা। কত মানুষ এগিয়ে গিয়ে ছবি
তুলছে, কিন্ত তার কোনো ভ্রূক্ষপই নেই! এরই মধ্যে হঠাৎ একদল সেনা কোথাথেকে
যেন উদয় হল অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে। অমনি ভীড় জমে গেল তাদের ঘিরে। সেই ভীড়
সরিয়ে তারা কুচকাওয়াজ সুরু করে দিল। এরা আসলে এই দুর্গের রক্ষী, যারা
‘বিফীটার‘ নামেও পরিচিত।
রাণীর রত্নসম্ভার এর মধ্যে সেরা রত্ন হল ‘কহিনুর’ – যার রূপ সত্যি
অবর্ণণীয়। পরপর প্রায় ছটি রত্ন খচিত মুকুটের শেষটিতে কহিনুর আছে আর তাই
রাণী এলিজাবেথের মুকুটের শোভা অসামান্য। ‘স্টেট ইম্পিরিয়াল ক্রাউন’ নামে
যে মুকুটটি রাণী প্রতি বছর পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর দিন পরেন তাতে মোট
৩০০০ মণি-মুক্তো রয়েছে এবং তার মধ্যে প্রধান হল বিখ্যাত ‘কালিনান হীরে’
এবং অপরটি এক বিশালাকৃতির চূণী যা ‘ব্ল্যাক প্রিন্সেস রুবি’ নামে খ্যাত।
এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য বহুমূল্য তরবারি, রাজ্যাভিষেকের সরঞ্জাম, সোনা রূপোর
বিশালাকৃতি প্লেট, গ্লাস, চামচ, প্রায় ১ মিটার চওড়া সোনার সুরাপাত্র সহ
আরও কত কি!
অলঙ্কার শুধু নারীর ভূষণ নয় তা আপামর জনসাধারণকেই চুম্বকের মত টানে তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারলাম টাওয়ার অফ লন্ডনের এই কোণে এসে।
এখান থেকে বেড়িয়ে ডানদিকে ঘুরলে ‘ব্লাডি টাওয়ার’। পথে পড়ল টাওয়ার
গ্রীণ – সবুজ ঘাসে মোড়া এক ফালি জমি। যেমন নিষ্পাপ তরতাজা এর রূপ ততোধিক
রক্তাক্ত এর ইতিহাস। এটি ছিল অতীতের শিরোচ্ছেদ উদ্যান – যেখানে ইংল্যাল্ডের
তিন রাণী অ্যান বোলিন, ক্যাথরিন হয়ার্ড ও লেডি জেন গ্রে কে হত্যা করা হয়
নির্দিষ্ট সংখ্যক আমন্ত্রিত দর্শকের সামনে। মৃত্যু যন্ত্রনা যাতে কম হয়
তার জন্য ফ্র্যান্স থেকে দক্ষ ঘাতক আনা হয়েছিল অষ্টম হেনরীর এক সময়ের
প্রিয় রাণী আ্যান বোলিন এর জন্যে। ১৯৪১ সাল পর্যন্ত্য প্রায় ৯০০ বছর ধরে
এরকম বহু শাস্তির সাক্ষী এই টাওয়ার গ্রীণ। অপরাধিদের মধ্যে সমাজের নামী
দামী যারা তাদের শিরেচ্ছেদ হত এখানে জনসাধারণের চোখের আড়ালে আর অনামী যারা
তাদের ভাগ্যে জুটত টাওয়ার ব্রীজের ঘাতকের হাতে মৃত্যু এবং শোনা যায়
তাদের মাথা ঝোলানো থাকত টাওয়ার ব্রীজে দৃষ্টান্ত স্বরূপ।
বর্তমানে এই টাওয়ার গ্রীণের বাসিন্দা ৭টি ‘রাভেন’। এরা হুবহু কাকের মত
দেখতে কিন্তু আকারে বিশাল। দ্বিতীয় চার্লসের সময় থেকে এরা এখানকার
বাসিন্দা। কথিত আছে ‘যেদিন রাভেনরা টাওয়ার অফ লন্ডন ছেড়ে যাবে সেদিন
ইংল্যন্ডের রাজত্ব ধ্বংস হবে’। তাই বলা বাহুল্য এই ৭ জন রাভেনের যত্ন
আত্তির কোনো অন্ত নেই এই দুর্গে – নিত্ত খেতে পাওয়া ছাড়াও এক জন ‘রাভেন
মাষ্টার’ আছেন এই পক্ষীকূলের দেখাশোনার জন্য।
এই সবুজ মাঠকে ঘিরে রয়েছে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত তিনটে টাওয়ার –
ব্লাডি টাওয়ার, বিউক্যাম্প টাওয়ার ও লোয়ার উইকফিল্ড টাওয়ার। বন্দীদের
অকল্পনীয় অত্যাচারের বেশ কিছু উদাহরণ এখানে রাখা আছে যা রিতীমত ভয়ানক।
তবে অনেকেই তুলনামুলক স্বাধীনতা পেত তাদের বন্দীজীবনে সাথে ভালো ব্যবহারও।
সত্যি কথা বলতে কি কর্মচারীদেরও দুরবস্থার শেষ ছিলনা। যেমন প্রথম
এলিজাবেথকে যখন বন্দী করা হয়েছে তখন তিনি ইংল্যন্ডের সিংহাসনের পরবর্তী
দাবিদার, কাজেই তাঁর প্রতি কুব্যবহার ভবিষ্যতে সেই কর্মচারীর জীবনে কঠোর
শাস্তি হিসেবে নেমে আসতে পারে। স্যর ওয়াল্টার রল্যে তাঁর বন্দী দশায় অনেক
বৈঞ্জানিক পরিক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন, পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা
করতে পারতেন এবং ফ্রান্সের রাজা জন যথেষ্ট বিলাসবহুল বন্দী ছিলেন শুধু নয়
তাঁর বেশ কিছু পারিষদও ছিল এই দুর্গে থাকাকালীন।
এক হাজার বছরের পুরোনো এই দুর্গ কৃষক অভ্যুত্থান, বিদেশী শত্রুর আক্রমণ,
আগ্নি সংযোগ, গন অভ্যুত্থান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আক্রমণ এইরকম
নানা আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। তা সত্ত্বেও কালের গ্রাসকে সত্যি জয় করে
ইংল্যান্ডের হাজার বছরের জীবন্ত ইতিহাস শরীরে বহন করছে টাওয়ার অফ লন্ডন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন