শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪

ব্যাংকক ভ্রমণ নির্দশিকা

যখন আপনি ব্যাংকক ভ্রমণ করতে আসবেন একটা জিনিস মনে রাখবেন যে ব্যাংকক থাইল্যান্ডের রাজধানী। রাজা রামা (প্রথম) এই শহর নির্মান করেন। দেশের নতুন ও পুরাতন অংশের সংমিশ্রণ ঘটেছে। সত্যিকার অর্থেই এই শহর থাইবাসীদের পুরাতন ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সেইসাথে আধুনিক সমাজের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে চলার অনুপম দৃষ্টান্ত। যেভাবেই আপনি দেখুন, এটাই আপনার চোখে পড়বে, এমনকি রাজকীয় পরিবার যে এলাকায় বাস করেন সেখানেও এটা চোখে পড়বে যেখানে থাই সরকার ও প্রশাসনের কেন্দ্র রয়েছে। এটা দেশের শিল্প, বানিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে দেশের প্রধান বন্দর রয়েছে এবং লোকসংখ্যা যুক্তরাজ্যের এক দশমাংশ। ব্যাংকক শহর শ্যাম উপসাগর পর্যন্ত বয়ে যাওয়া চাও ফ্রায়া নদীর তীরে অবস্থিত।

ব্যাংককের ইতিহাস

ব্যাংককের আসল নাম ক্রুং থেপ বা দেবদূতের শহর। আত্বিকভাবে, বাহ্যিকভাবে এবং প্রতীকিভাবেও এখানকার মানুষ তাই বিশ¦াস। আপনি যখন এখানে প্রথম আসবেন আপনার মনে ব্যাংকক একটা আধুনিক মহানগরী হিসেবে ছাপ ফেলতে পারে গগনচুম্বী অট্টালিকা, কনডোজ, হোটেল, দোকান-পাট এবং আধুনিক শপিং মলের ছড়াছড়ি দেখে। এটা ব্যাংককের মাত্র একটি আকর্ষণীয় দিক।

এই শহর সত্যিই প্রাচ্যের একটি বিচিত্র শহর। এই শহর সত্যিই প্রাচ্যের একটি বিচিত্র শহর। ব্যাংকক একটা উন্নত শহর হয়েও এর জনগন কখনো নিজেদের ঐতিহ্যগত দিকটি ভুলতে পারেন না যার কারণে ব্যাংকক একটা চমতকার শহর হিসেবে বিবেচিত। চারশ বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিটির চমতকারিত্ব আপনাকে জানিয়ে দেবে এর শিল্পোতকর্ষতা।

ব্যাংককের দর্শনীয় জিনিসগুলি

ব্যাংককে আবিষ্কার করার মতো আপনি প্রথম দর্শনে যা দেখবেন তার চাইতেও অনেক বেশী কিছু রয়েছে। ব্যাংককের প্রধান আকর্ষণসমূহ ছাড়াও কিছু স্থান রয়েছে যেগুলি কম পরিচিত। তার মধ্যে একটা হলো ওয়াত রাচাবোফিত। এখানে দর্শনযোগ্য অলঙ্কৃত ফলকসমৃদ্ধ প্রচুর স্মৃতিসৌধ রয়েছে। আরও কিছু জায়গা দেখতে প্রায়ই বাদ পড়ে যেমন ব্যাংককের গ্রান্ড প্যালেস সেইসাথে রয়েছে জাতীয় যাদুঘর ও উইমানমেক থ্রোন হল এবং জিম থম্পসন’স হাউজ।

আপনি ব্যাংককের সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করতে পারবেন যদি ঐতিহাসিক চাও ফ্রায়া নদীকে ভালভাবে অনুসন্ধান করেন। অনেক কিছু দেখা ও জানার আছে ব্যাংককে কারণ এখনও সেখানে পুরনো ঐতিহ্য বর্তমান যা প্রভাবান্বিত করে সংস্কৃতিকে সেইসাথে আধুনিক সভ্যতাকে। এখানকার জনগণ তাদের অতীতকে ভালবাসে সেইসাথে বর্তমানের প্রতিও তারা উতসাহী যার ফলে ব্যাংকক একটা সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে।

শহরের মানুষদের কাছে একটা মজার বিষয় হলো তাদের খাদ্য-খাবার গ্রহণ। তারা খুব মশলদার ও অভিজাত খাবার গ্রহণ করে। জাতীয়ভাবে যে খাদ্যগুলো বিশিষ্ট তার মধ্যে মাছ, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি ও বাগদা চিংড়ি রয়েছে। উপরোক্ত খাদ্য গুলি ছাড়াও অন্যান্য খাবারও রয়েছে। ব্যাংককের খাবার দাবার সত্যিই একটা মজার ব্যাপার। যত্রতত্র জাকজমকপূর্ণ, বসে পড়ার মতো রেস্তোরাঁ রয়েছে খাদ্য খাবারের বিশেষ জায়গাগুলির পথে। যেকোন রুচির লোকজনের জন্য এখানকার খাবার চমকপ্রদ মনে হবে।

থাইবাসীগন তাদের জীবনকে আমোদপ্রমোদের মাধ্যমে উপভোগ করে সেইসাথে রয়েছে তাদের রাত্রিকালিন জীবনের আনন্দ। এখানে প্রত্যেকের জন্যই আনন্দের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ক্লাসিক্যাল থাই নাচ দেখতে পারেন আবার লাউঞ্জে বসে ককটেল পান করতে পারেন। যারা ডিসকো পছন্দ করেন তাদের ডিসকোর ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

থাইল্যান্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা যা দর্শকরা উপভোগ করে থাকেন তা হলো থাই কিকবক্সিং (মুয়েই থাই)। থাই কিকবক্সিং এর জন্য প্রতিযোগীদের গ্লাভযুক্ত পা, হাঁটু, কনুই ও মুষ্ঠি ব্যবহার করতে হয়। স্তাহের অধিকাংশ রাতেই আপনি কোন না কোন স্টেডিয়ামে এইসব খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এখানে আসলে আপনি অবশ্যই এই খেলা মিস করবেন না। শুধু খেলা দেখাই আনন্দের নয় রিং এর চারপাশের হৈচৈ আর দৃশ্যও দেখার মতো।

আপনি যদি উচ্চমার্গের কোন কিছু থাইল্যান্ডে উপভোগ করতে চান তবে থাই কালচারাল সেন্টারে চলে যেতে পারেন যেটা সম্প্রতি চালু হয়েছে। আপনি এখানে নাচ, গান এবং নাটক উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি হাই রেটেড কোন হোটেলে এসব উপভোগ কতে পারবেন।

ব্যাংককে কেনাকাটা

কেনাকাটা হলো ব্যাংককে আর একটি আনন্দজনক ব্যাপার। বিগত কয়েক বছরে আরও অধিক সংখ্যক প্লাজা, মল এবং দোকানপাট এখানে মাথা উঁচু করেছে। মানুষের উচ্চ পছন্দের কেনাকাটার মধ্যে রয়েছে থাই সিল্ক ও থাই সোনা।

সিল্ক সামগ্রী প্রস্ত্তত হয় বৈচিত্রময় রং ও নকশা দিয়ে সেসাথে থাকে আকর্ষণীয় দাম। আপনি থাই খনি থেকে উত্তোলিত চুনি ও নীলা পাথর দেখতে পারেন। আপনি যদি জুয়েলারী সামগ্রী ক্রয় করেন তাহলে এগুলি সস্তায় মিলবে না তবুও মোটামুটি সাশ্রয়ী দামে আপনি কিনতে পারবেন এগুলি স্থানীয়ভাবে তৈরী একারনে। যারা স্বর্ণের জুয়েলারী ক্রয় করবেন তাদের উচিত চায়না টাউনে যাওয়া যেখানে ৯৬.৫% খাঁটি সোনার জুয়েলারী পাওয়া যায়।

ব্যাংককে থাকবার ব্যবস্থা

ব্যাংককে আপনি থাকার জন্য আপনার সামর্থ্যের মধ্যে বহু ব্যবস্থা পাবেন। এমনকি চাও ফ্রায়া নদীর সামনে অবস্থিত হোটেলেও আপনি থাকতে পারেন যেমন ব্যাংককের বিখ্যাত ওরিয়েন্টাল হোটেল অথবা পেনিনসুলা হোটেল অথবা গাছপালা ও বাগান ঘেরা কোন হোটেলেও আপনি থাকতে পারেন আপনার পছন্দমতো নগরীর বানিজ্যিক অংশের বাইরে । ব্যাংককে আপনি পৃথিবীর যেকোন জায়গার তুলনায় ভাল আতিথেয়তা লাভ করবেন। আপনি যদি ব্যাংককের বিখ্যাত নিশিজীবন এলাকা যেমন প্যাটপং, সয় কাউবয় বা নানা প্লাজায় থাকতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার উচিত ভাল একটি হোটেলে রুম বুক করা যেমন সিলমে ক্রাউন প্লাজা হোটেল কি ওয়্যারলেস রোডে প্লাজা এথেনিতে। তারা দক্ষতার সাথে আপনার যত্ন ও প্রয়োজনমতো সব ব্যবস্থা করে দেবে।

ব্যাংককের মানচিত্র


শহরে ঘুরতে খুব বেশী অর্থের প্রয়োজন হয়না। ট্যাক্সি ও টুক টুক নামে যান পাওয়া যায় এখানে। এগুলো মটরচালিত ত্রিচক্র যান। নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাচলের জন্য বাস রয়েছে যেগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও শীতাতপ ছাড়াও। আপনি যদি চাও ফ্রায়ার কাছে থাকেন তাহলে নৌ ট্যাক্সি ও খেয়া পারের ব্যবস্থা রয়েছে। লম্বা লেজওয়ালা নৌকাতেও আপনি ভ্রমণ করতে পারেন আর আপনার জন্য নির্দেশনাসহ ভ্রমণের ব্যবস্থাও রয়েছে।

ভ্রমণের সময় আপনি কেন্দ্রীয় সমতল ভূমি ও আয়ুত্থায়ার ধ্বংসাবশেষ দেখতে পারেন, ১৭৬৭ সালে ধ্বংস হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এটা শ্যাম দেশের রাজধানী ছিল। দেখার জন্য আপনি প্রমোদতরীতে চড়তে পারেন। ব্যাংকক থেকে এটা ৮০ কি.মি. দুরে অবস্থিত। একসময় ব্যাংকক কি জাকজমকপূর্ণ ছিল তা আপনি দেখতে পাবেন। পূর্বের রাজকীয় গ্রীষ্মকালীন নির্জনবাস জায়গা বাং পা ইন আজও আপনি দেখতে পাবেন। বিস্ময়কর স্থাপত্যকর্মে এই জায়গা পরিপূর্ণ।

আপনি যদি ধ্বংসাবশেষের উত্তরে যান তবে লোপ বুড়ি পাবেন। শহরটি আপনাকে মুগ্ধ করবে না তবে আপনি এখানেও ধ্বংসাবশেষ পাবেন। এটি কৌতুহল উদ্দীপক জায়গা। ব্যাংকক শহরের পশ্চিমে গেলে আপনি নাখন পাথম দর্শন করতে পারবেন যেটা পৃথিবীর সর্বোচ্চ বৌদ্ধ মনুমেন্ট। আপনি কোয়াই নদীর উপরে ব্রীজ দেখতে পারেন সেসাথে রোজ গার্ডেন রিজোর্ট। রোজ গার্ডেন রিজোর্টের খুব কাছেই সামফ্রান এলিফ্যান্ট গ্রাউন্ড ও চিড়িয়াখানা অবস্থিত। যদি ব্যাংকক শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে যান সেখানে একটা কুমির খামার দেখতে পাবেন যেটা পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম। এর ঠিক সামনেই পুরাতন শহর। সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতি আকর্ষণ আছে এমন যে কেউ এ স্থান ভ্রমণ করতে পারেন। 

========================================================================

চিয়াং মাই ভ্রমণ নির্দশিকা

Chiang Mai Photo from Thailand Photo Library১২৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চিয়াং মাই থাইল্যান্ডের প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় শহর। এটা ব্যাংকক থেকে ৭০০ কি.মি. দুরে অবস্থিত। সাগর থেকে ৩০০ মিটার উঁচু চিয়াং মাই হিমালয়ের পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এখানকার বনে এখনও হাতি দ্বারা কাজ হয় । সুন্দর জলপ্রপাত, গুহা, গিরিসঙ্কট, বেষ্টিত বাগান সেইসাথে প্রচুর বৃক্ষরোপন চিয়াং মাই এ একটা সুন্দর বিস্তৃত ভূ-চিত্র তৈরী করেছে।

চিয়াং মাই লান না থাই এর রাজধানী ছিল, এখানে দশ লক্ষ ধান ক্ষেত্র রয়েছে। এটা ছিল প্রথম স্বাধীন রাজ্য যাকে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল বলা হয়। এটা ১৫৫৬ সাল পর্যন্ত একটা সফল ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসা-বানিজ্যের্ত কেন্দ্র ছিল । বার্মা এখানে আগ্রাসন চালায়। ১৭৭৫ সালে বার্মিজদের হটিয়ে দিয়ে থাইরা একে থাইল্যান্ডের অবিচ্ছেদ্দ অংশে পরিণত করে। বিভিন্ন উতসব, ১৩০০ শতকের মন্দির, সুন্দর দৃশ্য, চমতকার ফলমুল যেমন আপেল, পীচ এবং স্ট্রবেরী, শীতল আবহাওয়া এবং সুন্দর রমনীদের দেখলে মনে হবে এটা শাংগ্রী লা।

ব্যাংকক থেকে চিয়াং মাই ভ্রমণে বরাবরই একটা নির্জন এলাকা হিসেবে মনে হবে। ১৯২০ সালের আগে যদি আপনি এখানে আসতেন তাহলে নদীপথে অথবা হাতির পিঠে চড়ে আসতে হতো যা কয়েক স্তাহ সময়ের ব্যাপার। এখানকার মানুষদের নিজস্ব ভাষা, রীতি, হস্তশিল্প, ঐতিহ্য, নৃত্য এবং খাদ্য রয়েছে। চিয়াং মাই ভ্রমণে আসবেন যারা তারা কখনো এখানে ভ্রমণের আনন্দ ভুলবেন না। এখানে মোন, বার্মিজ, শ্রীলঙ্কান এবং লান না থাই এর স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ ঘটেছে। এখানে বিভিন্ন জিনিসের উপর দেখা যাবে প্রচুর কাঠের খোদাই কাজ ঠিক জটিল সিড়ির মতো।

চিয়াং মাই এর দৃশ্য দর্শন

শহরে কয়েকটা প্রধান মন্দির রয়েছে। একটির নাম ওয়াত চিয়াং মান যা সবচেয়ে পুরাতন। অন্য একটির নাম ওয়াত চেদি লুয়াং যা ১৫৪৫ সালের ভূমিকম্পে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়াত ফ্রা সিং এ ফ্রা সিং বুদ্ধম এর একটা ছবি রয়েছে। এটা তৈরী হয়েছিল ১৩৪৫ সালে। ওয়াত কু তাও চীনামাটি খচিত একটা সুন্দর প্যাগোডা । ওয়াত সুয়ান ডক ওয়াত উমং এর একটা মন্দির। এটা চৌদ্দশ শতকে তৈরী হয়েছিল লান না থাই রাজের প্রমোদ বাগ হিসেবে। সবচেয়ে দর্শনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্দির হলো ওয়াত ফ্রা থাত দই সুদেপ। এটা একটা ভূ-চিহ্ন যেখান থেকে শহর দেখা যায়, শহর এখান থেকে ১৫ কি.মি. দুরে। এই মন্দিরে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে যা পর্যটক আকর্ষণ করে এবং বৌদ্ধ পুন্যার্থিরা এখানে সারা বছর আসেন। এখানে আসতে ১২ কি.মি. পাহাড়ী জিগজ্যাগ পথ আছে। চিয়াং মাই এর চিড়িয়াখানা অবশ্যই দেখতে আসবেন যেখানে খাড়া সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়। আপনি যদি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে না চান তাহলে কার এ চড়ে মন্দিরে আসবেন যেখান থেকে মজাদার দৃশ্য দেখা যায়।

মন্দিরে ভ্রমণ ছাড়াও আপনি মার্কটে অথবা বড় বাজাওে যেতে পারেন কেনাকাটার জন্য। আপনি এখানে অ্যান্টিক, জুয়েলারী, পাইপ, এমব্রয়ডারী, সিল্ক, সুতি কাপড়, ঝুড়ি, সেলাডন, রুপার অলংকার, ফার্ণিচার, ল্যাকার ওয়্যার, খোদাইকাষ্ঠ এবং ছাতা পাবেন। আপনি চিয়াং মাই এ মানুষকে কর্মরত অবস্থায় দেখতে পাবেন। শহরের প্রান্তে বো সাং গ্রাম দেখা যাবে। আপনার কেনাকাটার কাজ শেষ হলে সান কামফানেগ এর উষ্ণ প্রস্রবনে আরাম করতে পারেন যা শহর থেকে ৩৬ কি.মি. দুরে অবস্থিত। প্রস্রবনের পানি উচ্চ সালফারযুক্ত যা স্বাস্থ¨ পুনরুদ্ধারক।

চিয়াং মাই এর উতসব

চিয়াং মাই এ বেশ কয়েকটি বার্ষিক উতসব অনুষ্ঠিত হয়। তিনটা আছে উল্লেখ করার মতো। প্রথমটি হলো ফুল উতসব যা ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম স্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। এটা নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফুল ফোটার উতসব। উতসবের সময় শোভাযাত্রা ও প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় উতসব হলো সংক্রান। এটা এপ্রিলের ১৩-১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এটা থাইবাসীদের নতুন বছর উদযাপন। ধর্মীয় উতকর্ষতা সাধনের জন্য ৩ দিনের উতসব, তীর্থযাত্রা, সুন্দরীদের প্যারেড, নাচ এবং অন্যান্য নির্বাধ অনুষ্ঠান সেসাথে জল ছোড়া উতসব রয়েছে। শেষ উতসব হলো লয় ক্রাথং। এটা মধ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এটা চান্দ্র বছরের দ্বাদশ মাসের পূর্ণ চন্দ্ররে দিন অনুষ্ঠিত হয়। এটা সবচেয়ে আকর্ষণীয় উতসব কারণ মানুষ পূর্ণ চন্দ্ররে রাতে কলাগাছের ভেলায় মোমবাতি, ধূপ, ফুল এবং একটা কয়েন জলদেবতাকে সম্মান করে ভাসিয়ে দেয় সেসাথে ভাসিয়ে দেয় বিগত বছরের পাপকে ।

উপরোক্ত উতসবগুলির যেকোন একটির সময় যদি চিয়াং মাই এ আসেন তবে সবচেয়ে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেল আছে যেখানে আরামদায়ক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবার ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের বাজেট সমস্যা আছে তারা সাশ্রয়ী অতিথি নিবাসে থাকতে পারেন। যদি চিয়াং মাই এর বাইরে থাকতে মনস্থ করেন তাহলে মা সা ভ্যালীতে থাকার জন্য বাংলো ও কেবিন পাবেন। আপনি থাই পর্যটন কর্তৃপক্ষের চিয়াং মাই শাখা থেকে ট্যূরিস্ট গাইড নিয়ে নিতে পারেন।

চিয়াং মাই এ চীনা খাদ্যের পাশাপাশি ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ, জার্মান এবং মুসলিম বৈশিষ্টের রেস্তোরাঁ আছে। এখানে আমেরিকান স্টাইলের কাবাব ঘর, স্যান্ডউইচ ঘর, ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ, পানশালা এবং নিরামিশ রেস্তোরাঁ রয়েছে। চা এবং কফি হাউজে আপনি ভাল চা অথবা কফি পান পাবেন। স্থানীয় খাবারের স্বাদ যদি আপনি উপভোগ করতে চান তাহলে মশলাযুক্ত নায়েম সসেজ সেসাথে হালকাভাবে রান্না করা খাও সয় নুডল্‍স খেতে পারেন। প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন খানটক ডিনার ও উত্তরের নৃত্য উপভোগ করার জন্য।

চিয়াং মাই এর মানচিত্র


চিয়াং মাই এ থাকবার ব্যবস্থা

চিয়াং মাই এ থাকবার জন্য সব বাজেটের হোটেল ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি চিয়াং মাই এ ইমপেরিয়াল মা পিং হোটেল বা রয়্যাল প্রিন্সেস হোটেলে থাকতে পারেন।

চিয়াং মাই ও এর আশেপাশে ভ্রমণ

নগরীতে আপনি পদব্রজে ভ্রমণ করে এর নিবিড়তা অনুসন্ধান করতে পারেন। আপনি যদি পদব্রজে ভ্রমণ না করতে চান তাহলে বাস, মিনিবাস, অথবা ত্রিচক্রযানে চড়তে পারেন। আপনি গাইডেড ভ্রমণে যেতে পারেন তারা আপনার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। দিন ও স্তাহ ভিত্তিতে কোন গাড়ী ভাড়া করা যেতে পারে। আপনি যদি ব্যাংককে আসেন তাহলে বিভিন্ন রকম যানবাহন পাবেন চিয়াং মাই যাওয়ার জন্য। চিয়াং মাই ও ব্যাংককের মধ্যে রেল, বাস ও বিমানপথে যোগাযোগ রয়েছে। থাই এয়ারওয়েজ বোইং জেটে আপনার মাত্র ৫৫ মিনিট সময় লাগবে। আপনি যদি বাসে যেতে চান তাহলে ফাহোনিওথিন রোডে যাবেন তারা আপনাকে ১২ ঘন্টায় পৌঁছে দেবে। যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে সময় লাগবে ১৪ ঘন্টা।  

=============================================

পাত্তাইয়া ভ্রমণ নির্দশিকা

পাত্তাইয়া ভ্রমণ নির্দশিকাসারা বিশ¦ থেকে মানুষ এশিয়ার সর্বোত্তম সৈকত নিবাস পাত্তাইয়ায় আসেন। আপনি যা যা কল্পনা করতে পারেন তাই এই যাদুকরী পাত্তাইয়ায় এসে আপনি পেয়ে যাবেন। আপনি উইন্ডসার্ফ, স্কুবা ডাইভ, কোরাল দ্বীপ ভ্রমণ, পাম ঘেরা হোটেলে অবস্থান, মজাদার সামুদ্রিক খাবার এবং এই রিজোর্টের চমতকার আবহাওয়া উপভোগ করতে পারেন। এখানে আপনি চমতকার নিশি জীবন উপভোগ করতে পারবেন। একটি স্মরণীয় অবকাশ যাপনের জন্য সবরকম ব্যবস্থা আপনার নখাগ্রেই পাবেন।

পাত্তাইয়ায় এসে আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী থাকার সুবিধা পাবেন। আপনি হোটেল, বাংলো, সস্তার হোটেল, সরাইখানা এবং অতিথিনিবাসে থাকতে পারেন। সুতরাং আপনার পছন্দ অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন।

পাত্তাইয়ায় আপনি আপনার পছন্দানুযায়ী উত্তম সব খাবার পাবেন। আপনি হোটেল বুফেতে খেতে পারেন অথবা রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারেন। এখানে কাবাব ঘর, কফি শপ সেসাথে ফাস্ট ফুড রেস্টোরাঁয় আপনি যেতে পারেন। আপনি যদি ঐতিহ্যগত থাই খাবার খেতে ইচ্ছা করেন তাহলে প্রচুর পরিমানে পাবেন।

পাত্তাইয়ায় খেলাধুলার সুযোগ

এখানে আপনার পরিবারকে ব্যস্ত রাখার জন্য প্রচুর খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি যদি এগুলো উপভোগ করেন তবে আপনার জন্য উইন্ড সার্ফিং, সেইলিং, গেম ফিশিং, প্যারা সেইলিং, ওয়াটার স্কিইইং এবং স্কুবা ডাইভিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।

পাত্তাইয়ার মনোরম দৃশ্যাবলী

আপনি যদি মাটির উপরে অধিক পরিমানে দৃঢ়পদ হন তবে আপনার জন্য গ্রাউন্ডের খেলা, আমোদপ্রমোদ এবং চিত্তবিনোদন যেমন গল্ফ, ঘোড়ায় চড়া, মোটর এবং মোটর সাইকেল চালনা প্রতিযোগিতা, টেনিস, পাত্তাইয়া পার্কে গমন, পানি পার্কের আনন্দ উপভোগ, পাত্তাইয়া হাতির খোঁয়াড় পরিদর্শন, নং নুচ গ্রাম পরিদর্শন, অর্কিড নার্সারী পরিদর্শন, শিল্পকলা কেন্দ্র পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শন উপভোগ করতে পারেন। আপনি যেকোন কিছু কেনার জন্য বের হতে পারেন।

পাত্তাইয়া আসতে আপনাকে ১৪৭ কি.মি. ভ্রমণ করতে হবে, হাইওয়ে ধরে দুই ঘন্টা, সেসাথে বাং পাকং চোন বুরি এবং সিরাচার মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত সব রকম বাসেই চড়তে পারেন।

পাত্তাইয়ায় রাতের জীবন

সূর্যাস্তের পরে আপনি পাত্তাইয়ার নিশি জীবনের শব্দ ও দৃশ্যের জন্য ব্যাকুল হতে পারেন। আপনি কোন লোভনীয় রেস্তোরাঁয় খেতে অথবা কোন নাইট ক্লাব বা হোটেল লাউঞ্জে বসে ককটেল পান করতে পারেন। আপনি কোন সাপার ক্লাবে যেতে পারেন যেখানে আমোদ-প্রমোদ ও সঙ্গীতের ব্যবস্থা আছে সেসাথে আছে খাদ্য ও পানীয়। এটা একটা আদর্শ পরিকল্পনা যদি আপনার পরিবার আপনার সাথে থাকে।

আপনি কোন ম্যাসেজ পারলারে যেতে পারেন বিশ্রামের জন্য অথবা পাত্তাইয়ার গো গো বারেও যেতে পারেন। এগুলি আপনি পাত্তাইয়ার সাগর সৈকতের দক্ষিণে পাবেন।

আপনি যদি সমুদ্র নিবাসে থাকাকালীন ড্রাইভে যেতে চান তাহলে মোটর সাইকেল, জীপ অথবা দৈনিক ভিত্তিক কার ভাড়া করতে পারেন। মিনি বাসগুলি সৈকতের রাস্তা ও পাত্তাইয়া ২ রোডের মধ্যে সার্কিট ড্রাইভিং করে। এর জন্য মাত্র পাঁচ কি দশ বাথ খরচ হয়।

পাত্তাইয়ার মানচিত্র


পাত্তাইয়ায় থাকবার ব্যবস্থা

পাত্তাইয়ায় প্রচুর হোটেল ও প্রমোদ নিবাস রয়েছে। সবচেয়ে ভাল কয়েকটি হলো জমটিয়েন বীচে অম্বাসাডর সিটি রিজোর্ট অথবা রয়্যাল ক্লিফ বীচ রিজোর্ট।

আপনার যদি পর্যটন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের বীচসাইড অফিসে যেতে পারেন। এটা বীচ রোডের ৩৮২/১ এ অবস্থিত যা ট্যুরিস্ট পুলিশ সেন্টারের পরেই। এই অফিস আপনাকে ভ্রমণ তথ্য ও ট্যুরিস্ট পাবলিকেশন সরবরাহ করতে পারবে। যদি পাত্তাইয়া ভ্রমণের সময় জরুরী কোন পরিস্থিতির শিকার হন তাহলে পাত্তাইয়া ট্যুরিস্ট পুলিশ দ্রুত আপনাকে সহায়তার ব্যবস্থা নেবে। 

==============================================
 

ফুকেত ভ্রমণ নির্দশিকা

ফুকেত ভ্রমণ নির্দশিকা থাইল্যান্ডের বৃহত্তম দ্বীপ হলো ফুকেত। এটা ব্যাংককের ৮৭০ কি.মি. দুরে অবস্থিত। এখানকার প্রধান র্তানী দ্রব্য হলো টিন ও রাবার। এই দ্বীপ সামুদ্রিক জীবন দ্বারা জীবনপ্রাপ্ত। থাও থেপ কাসাত্রি এবং থাও সিসুনথন প্রতিমুর্তি এই দ্বীপের ভূ-চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত।

ফুকেট একটা সুন্দরতম দ্বীপ যার আছে খাড়ি, উপসাগর, পাম ঘেরা সাদা সমুদ্র সৈকত, দ্বীপঘন সাগর, বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ, সুন্দর থাকার ব্যবস্থা, দারুন সামুদ্রিক খাবার, রাজকীয় পাহাড়, আয়েশী জলপ্রপাত এবং অনেক সামুদ্রিক পার্ক। অন্য কথায় অবকাশ যাপনের মধুর স্মৃতিসম্ভার তৈরীতে ফুকেতের মতো সুন্দরতম জায়গা আর হয়না ।

ফুকেতে অবস্থানকালে আপনার পরিবারকে ব্যস্ত রাখার জন্য এখানে অনেককিছু দেখার ও করার আছে। এখানে এসে যদি সক্রিয় হতে না চান তাহলে আপনি সাদা বালির উপরে বিশ্রাম নিতে পারেন।

আপনি সুরিন বীচে নয় হোলের গল্ফ কোর্সে গল্ফ খেলতে পারেন যেখানে সাঁতার কাটা সম্ভব নয় তরঙ্গভঙ্গ ও ঢেউয়ের পশ্চাত টানের কারনে। সবচেয়ে উন্নত বীচ হলো পাতং বীচ যা আপনার আমোদ প্রমোদের জন্য যথেষ্ট। নাইট ক্লাব থেকে জলক্রিড়ার ব্যবস্থা এখানে আছে যা আপনি আপনার ভ্রমণের সময় উপভোগ করতে পারেন।

ফুকেত ভ্রমণ

ফুকেতে আসার জন্য আপনাকে ১৪ ঘন্টার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ভ্রমণ করতে হবে যা ফুকেত-ব্যাংককের মধ্যে চলাচল করে। খাওসান রোড থেকে একদম সস্তায় টিকেট পাওয়া যায়। সহজ পদ্ধতি হলো থাই এয়ারওয়েজে অথবা এয়ার এশিয়ায় যাওয়া যা মাত্র ১ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় নেয়। দৈনিক অন্ততঃ পাঁচবার এই ফ্লাইট পরিচালিত হয়। ফুকেতে যাওয়ার কোন ট্রেন সার্ভিস নেই।

ফুকেতে থাকবার ব্যবস্থা

একবার এসে পড়লে নিশ্চয় আপনার থাকবার প্রয়োজন হবে। ফুকেতে হোটেল ও প্রমোদ নিবাসের মধ্যে আছে আমানপুরী ফুকেত, সেন্ট্রাল ওয়াটারফ্রন্ট সু¨ট্‍স হোটেল ফুকেত, দি চেদি ফুকেত, দি দুসেত লাগুনা রিজোর্ট হোটেল ফুকেত এবং লি রয়্যাল মেরিডিয়ান ফুকেত, ইয়ট ক্লাব ফুকেত এগুলো হলো প্রথম শ্রেণীর যা আপনাকে ফুকেত শহরে ফ্রী যানবাহনের ব্যবস্থা করবে। সাশ্রয়ী শ্রেণীর থাকার জায়গাও রয়েছে। আপনি যদি প্রথম শ্রেণীর হোটেলে থাকেন তাহলে কেবিন ও বাংলো কমপ্লেক্স পেতে পারেন। আপনার যদি প্রথম শ্রেণীতে থাকার সামর্থ্য না থাকে তাহলে আপনি স্থানীয় স্টাইলের কমপ্লেক্সে থাকতে পারেন যেগুলি বাঁশ, রত্তন ও খড়ের তৈরী।

ফুকেতের সমুদ্র সৈকতসমূহ

বিভিন্ন সৈকতের বিভিন্ন নিজস্ব বৈচিত্র রয়েছে। প্রথমটি হলো মাই খাও যা এখানকার দীর্ঘতম সৈকত। পরবর্তী সৈকত হলো নাই ইয়াং। এটা একটা বিশাল সমুদ্র সৈকত সাতার কাটা ও বিশ্রাম নেয়ার জন্য। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সামুদ্রিক কচ্ছপগুলি ডিম দেয় এখানে ডিম দেয়। আপনি যদি সমুদ্র থেকে ভিতরের দিকে অগ্রসর হন তাহলে দেখতে পাবেন ওয়াত ফ্রা থং যেখানে আপনি আংশিক সমাধিপ্রাপ্ত সংরক্ষিত বুদ্ধমুর্তি রয়েছে।

পরবর্তী দুইটি সৈকত হলো কারন ও কাটা। এগুলি খুবই শান্তিপূর্ণ সাগর সৈকত আপনাকে সম্পূর্ণ সূর্যালোকে সাঁতার কাটা, স্নরকেলিং ও রৌদ্রস্নান করার সুযোগ দেবে। কাটাতে কিছু অংশ জুড়ে আছে ক্লাব মেডিটারেনিয়ান। সাদা নাই হান সৈকত ফুকেতের দক্ষিনাংশ জুড়ে রয়েছে। আপনি এই সমুদ্র সৈকতে জলক্রিড়া করতে পারেন অনায়াসে। প্রমথেপ অন্তরীপ একটা দেখার মতো জায়গা। এখানে সূর্যাস্ত দেখা যায় কারণ এটা সমুদ্র সৈকতের একদম দক্ষিণে অবস্থিত।

সর্বশেষ সৈকত হলো রাওয়াই যেখানে আপনি আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এখানে অনেক উপকুলবর্তী দ্বীপ আছে যেগুলির সুন্দর সাদা সৈকত আছে। আপনি এখানে পানির নীচের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন যেগুলি স্কুবা ডাইভার ও জেলেদের আকর্ষণ করে।

ফুকেতের মানচিত্র


ফুকেতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী

সমুদ্র ছাড়াও ফুকেতে অনেক প্রাকৃতিক স্থান রয়েছে উপভোগ করার মতো যেমন আছে টন সাই জলপ্রপাত, ফরেস্ট পার্ক এবং খাও ফ্রা থায়ে বন্যপ্রাণী পার্ক যেখানে আপনি পাখি, ভল্লুক এবং বানর সেসাথে জলপ্রপাত ও গাছপালা দেখতে পাবেন। যদি উত্তর পূর্ব দিকে যান তাহলে দেখতে পাবেন চালং বে যেখানে ওয়াত চালং এ বৌদ্ধ সন্নাসীদের প্রতিমূর্তি সংরক্ষিত আছে। আর যদি দক্ষিণে যান তাহলে আপনি পৌছে যাবেন ফানওয়া অন্তরীপে যেখানে একটা মেরিন বায়োলজি রিসার্চ সেন্টার আছে আর আছে অ্যাকুয়ারিয়াম নানা জাতের সামুদ্রিক প্রাণী।

যদি সাগর সৈকতে বেশী আকর্ষণ বোধ করেন তাহলে দেখার মতো আরও বিষয় আছে। আপনি হোটেল ও কফি শপ ভিজিট করতে পারেন। দ্বীপে থাই, চীনা আর ইসলামী খাবার পাবেন। ফুকেতে পাওয়া সামুদ্রিক খাদ্য থাইল্যান্ডে পাওয়া সব সীফুডের মধ্যে সেরা। থাইল্যান্ডের দক্ষিণের খাদ্য মশলাদার কিন্ত্ত মজাদার। যদি আরও প্রাকৃতিক খাবার খেতে চান তাহলে দ্বীপে যেসব ফলমুল পাওয়া যায় সেগুলির স্বাদ নিতে পারেন। এখানে আনারস ও নারকেল জন্বায়।

যদি রোদে সময় কাটানোর মুডে না থাকেন তাহলে কেনাকাটার জন্য বের হতে পারেন। বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর হস্তশিল্প এখানে পাওয়া যায় ঝিনুক ও কোরাল অলংকার এমনকি চাষ করা মুক্তো। রাতে সবকিছু নিস্তব্ধ থাকে যদি না আপনি শহরে এবং পাতং বীচ রেস্তোরাঁয়, বারে বা অন্যান্য জায়গায় সন্ধ্যায় যেগুলি খোলা থাকে সেখানে অবস্থান করেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন