আবু রায়হান (টুডে বিডি নিউজ) : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অনন্য সুন্দর
পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং। এটি বাংলাদেশীদের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম।
বাংলাদেশের অতি নিকটে, অল্প আয়েশ, অল্প ব্যায়ে ভ্রমণের এক আদর্শ স্থান
হচ্ছে দার্জিলিং। বোধকরি বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রথম
পছন্দের নাম দার্জিলিং। ৮,৫৯৮ মিটিার (২৮,২০৯) উচ্চতার
পৃথিবীর
তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় বহু বর্ণিল আলোকচ্ছাটার
অপার্থিব রূপ দেখতে তাই মানুষের এত আকর্ষণ। এই জেলার ইকো ট্যুরিজমের অন্যতম
পীঠস্থান। শিলিগুড়ি, কালিম্পং, কার্শিয়া, জলঢাকা, গৌরবাথানা, জোড়বাংলো,
মিরিক, নক্সালবাড়ি, প্রধাননগর, খুখিয়াপোখরি এই জেলার বিখ্যাত জায়গা।
দার্জিলিং বেড়াবেন বিভিন্ন পয়েন্টে সময় রুট বিবেচনা করে। দার্জিলিং শহর ও
তার আশাপাশের ভ্রমণ কেন্দ্রগুলো ভাগ করা হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে। যেমন টু
পয়েন্টে বলতে গাঙ্গামায়া পার্ক ও রক গার্ডেন ভ্রমণ। থ্রি পয়েন্টে ভাগ করা
আছে কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় দেখার জন্য টাইগার হিল, বিখ্যাত ঘুম বৌদ্ধ
মন্দির ও বাটাশিয়া পুল। ফাইভ পয়েন্টের অন্তুর্ভূক্ত স্পটগুলো হচ্ছে জাদুঘর,
জাপানি মন্দির, লালুকুঠি (কাউন্সিল ভবন), আভা আর্ট গ্যালারি এবঙ রীরধাম
মন্দির ইত্যাদি। সেভেন পয়েন্ট বলে পরিটিত স্তানগুলো হচ্ছে, পদ্মজা নাইডু
জ্যুওলজিক্যাল পার্ক, বিখ্যাত হিমালয়ান মাউনেইরয়ান ইনস্টিটিউট, রোপ ওয়ে,
পর্ততারোহণ স্বাদ পেতে, বিশাল এক পাথরে ওঠানামার জন্য তেনজিং রক, চা বাগান,
পর্বতরোহণস্বাদ পেতে, বিশাল এক পাথরে ওঠানামার জন্য তেনজিং রক, চা বাগান,
তিবক্ষতী রিফুজি ক্যাম্প এবং সস্তশিল্প প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র,
চারদিকে সুউচ্চ উপত্যাকার মাঝে সমতল মাঠ, দার্জিলিং গুর্খা স্টেডিয়াম
ইত্যাদি।
ম্যাল এলাকা:-দার্জির্লিংয়ের সবচেয়ে জমজমাট ও নানা পর্যককদের মিলনমেলা বসে ম্যাল এরাকায়। চারদিকে সু উচ্চ পাহাড়ের মাঝে একটুখানি সমতল এলাকা। আয়োজনও চমৎকার সমগ্র ম্যাল এলাকা রেলিং দিয়ে বেষ্ট করা আছে। ছোট ছোট বেঞ্চি রয়েছে বিশ্রাম ও আড্ডা দেয়ার জন্য। ম্যাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হোটেল , ট্যুরিস্ট লজ , বিভিন্ন দ্রব্যের দোকান , রেস্তোরাঁ, ব্যাংক আরও কত কী। স্টুডিওতো আছেই, সেই সাথে পাবেন ক্যামেরা নিয়ে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ানো পেশাদের ফটোগ্রাফার। ইচ্ছা করলে আপনার পছন্দের আলোকচিত্রটি পেশাদের আলোকচিত্রীকে দিয়ে তুলে নিতে পারেন।
নাইটিঙ্গেল পার্ক:- ম্যাল চত্বর ছাড়িয়ে আরও কিছু দূর উঁচু নিচু পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে আপনি পোছে যেতে পাবেন নইটিঙ্গেল পার্কে। দার্জিলিং ভ্রমণ বিনোদনের খুব বেশি দিন হয়নি এ পার্কটি সংযোজনের। ইজারো পাখির কলকাকলি, উঁচু স্থান থেকে সশব্দ গড়িয়ে পড়া ঝর্ণার পানির বর্ণিল আলোকচ্ছাটা এবং পুরো পার্কটিকে এমন সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যা সত্যিই মনোমুদ্ধকর। পাখির কলককালি শুনে ভবছেন পাকি কোথায়? একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন পাখির এ কলতান সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে। নাইটিঙ্গেল পার্কের সবচেয়েবড় আকর্ষণ হচ্ছে স্থানীয় গুর্খা জাতিসত্তার নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে
তুলে
দরে নাচ ও গানের অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব ইচ্ছে উপস্থিত অতিথিদের
অংশগ্রহণে নাচ ও গান। সবমিলিয়ে দারুন উপভোগ্য এক সন্ধ্যা কাটিয়ে আসতে পারেন
নাইটঙ্গেল পার্কে। দপ¥জা নাইডু হিমালয়ান জ্যুওলিজিক্যাল পার্ক ম্যাল
চৌরাস্তা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে জহর পর্বতের গায়ে এ পার্কটি গড়ে তোলা
হয়েছে। হিমালয় অঞ্চলের উদ্ধীদ ও প্রাণীবৈচিত্র্যের বেশ কিছু নমুনা রয়েছে এ
জ্যুওলিকিক্যাল পার্কটিতে। এর মধ্যে জানা-অজানা বিচিত্র ও দুর্লভ
গাছ-গাছালী ছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন মিসুলয়ের অতিকায় কালো ভল্লুক,
সাইবেরিয়ান বাঘ, তিব্বতের হিংস্রতম নেকড়ে গন্ডার, সাম্বার ও চিত্রা হরিণ,
ইলামা হায়না লাল পান্ডা এবং নানা রঙ্গ আকৃতির বহু প্রজাতির পাখি।
হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট:-পদ্মজা নাইডু জ্যুওলজিক্যাল পার্ক ও হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট একই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণের জন্য এ প্রতিষ্ঠানটির বেশ খ্যাতি রয়েছে। এখানকার মিউজিয়ামে আপনি পৃথিবীর প্রথম দুই পর্বতারোহী তেনজিং ও হিলারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘটনাবহুল ও বিখ্যাত সব পর্বতারোহী ও আরোহণের তথ্যবহুল প্রদর্শনী যেমন দেখবেন, তেমনি আপনি দেখতে পাবেন পর্বতারোহনের তথ্যবহুল প্রদর্শনী যেমন দেখবেন, তেমনি আপনি ধেকতে পাবেন পর্বতারোহণের জন্য প্রয়োজনীয় সাজ সরঞ্জাম ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রদর্শনী।
হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেন:-উঁচু পাহারের অপরূপ উপত্যকায় গড়ে তোলা হয়েছে চা বাগান। এ বাগানে এসে গাছ থেকে চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা তৈরির যাবতীয় কলাকৌশল দেখে নিতে পারেন।
টাইগার হিল:-শেষ রাত থেকে অসংখ্য জিপের সারি ও মানুষের কোলাহলে পূর্ণ হয়ে উঠে টাইগার হিল। দার্জিলিং শহর থেকে ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত টাইগার হিল কাঞ্চনজঙ্খায় সূর্যোদয় দেখার ভিউপয়েন্ট হিসেবে খ্যাত। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৫৫৫ মিটিার উঁচুতে টাইগার হিলের ভিউপয়েন্ট থেকে পৃথিবীর ৩য় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার শুভ্রবরফের রাজ্যে সূর্যের প্রতিফলনে বহু বর্ণিল আলোর ঝালকানি দেখার জন্য টাইগার হিলে আপনাকে আসতেই হবে। পরিস্কার আকাশ থাকলে টাইগার হিল থেকে পৃথিবীর সবোচ্চ সৃঙ্গ এভারেস্টও দেখা যায়। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাবেন কিন্তু ট্রয় ট্রেনে চড়বেন না তা কী হয়? পাষ্পীয় ইঞ্জিনচালিত ন্যারো গ্যাজ লাইন দিয়ে উচ্চ পাহাড় পর্বতের কিনারা দিয়ে যখন টেওনটি চলতে থাকে এর মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞাতা আর কী হতে পারে? ট্রয় ট্রেন জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত যাতায়াত করলেও দীর্ঘ পথের সময় বাঁচাতে আপনি দার্জিলিং থেকে ‘ঘুম’ স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণ করে বিশ্ব ঐতিহ্য এ ট্রয় ট্রেনের কিছুটা রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে পারেন।
রক গার্ডেন:-দার্জিলিং থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত রক গার্ডনে কলকল ধ্বনিতে প্রবাহিত হচ্ছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। পাহাড়ের গা ঘেঁষে অনেক উঁচুতে উঠে গেছে কৃত্রিমভাবে তৈরি সিঁড়ি। বেশ সাজানো-গোছানো আয়েজন দেখতে পাবেন রক গার্ডেন এসে। পিকিনিক স্পট ডহিসেবে এটি বিখ্যাত।
গাঙ্গামায়া পার্ক:-রক গার্ডেন থেকেআরও ৩ কিমি দূরে বিশাল এক জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করে বেশ বড় এলাকা জুড়ে গড়ে তোলে হয়েছে গাঙ্গামায়া পার্ক। পার্কের ভেতর লেকে নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে অদিবাসীদের পরিবেশিত নাচ ও গানের ব্যবস্থা। স্থানীয়দের তৈরি হস্তশিল্প দোকান, খাবার ব্যবস্তা সবই আছে এখানে।
দার্জিলিং যেভাবে যাবেন:-ঢাকা থেকে দার্জিলিং যাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। বাসযোগে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে জিপযোগে দার্জিলিং। দার্জিলিং তেকে প্রত্যেকটা দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে জিপ ব্যাবহার করতে হবে। দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন মানের হোটেল হচ্ছে।
তারকামানের হোটেল দি নিউ এলগিন হোটেল, মে ফেয়ার হিল রিসোর্ট, ইত্যাদি এছাড়া হোটেল গারুদা, হোটেল সান ফ্লাওয়ার, হেপাটেল উমা, হোটেল স্বাতী, হোটেল ব্রডওয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন মানের হোটেল গোটা শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
ভ্রমনের উপযুক্ত সময়:-পুর্ণিমার রূপ যেমন অপার্থিব আনন্দ দেয়, তেমনি আধারেরও তো রূপ আছে! পরিস্কার মেঘহীন আকাশে দার্জিলিং যেমন তার রূপের ঐশ্বর্য মেলে ধরে তেমনি বর্ষার সবুজ পাহাড় ও বিশাল ঝরনাধারা অন্যরূপ দেখতে পাবেন। হিসেম্বর – জানুয়ারী শীতের তীব্রতার পাশাপাশি হয়তো তুষারপাতেরও দেখা পেতে পারেন। সমতলের মানুষের জন্য তুষারপাত দেখা দারুণ আনন্দের ব্যাপার বৈকি! দার্জিংলিং ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ সময় হচ্ছে মার্চ থেকে মে মাস এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস।


ম্যাল এলাকা:-দার্জির্লিংয়ের সবচেয়ে জমজমাট ও নানা পর্যককদের মিলনমেলা বসে ম্যাল এরাকায়। চারদিকে সু উচ্চ পাহাড়ের মাঝে একটুখানি সমতল এলাকা। আয়োজনও চমৎকার সমগ্র ম্যাল এলাকা রেলিং দিয়ে বেষ্ট করা আছে। ছোট ছোট বেঞ্চি রয়েছে বিশ্রাম ও আড্ডা দেয়ার জন্য। ম্যাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হোটেল , ট্যুরিস্ট লজ , বিভিন্ন দ্রব্যের দোকান , রেস্তোরাঁ, ব্যাংক আরও কত কী। স্টুডিওতো আছেই, সেই সাথে পাবেন ক্যামেরা নিয়ে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ানো পেশাদের ফটোগ্রাফার। ইচ্ছা করলে আপনার পছন্দের আলোকচিত্রটি পেশাদের আলোকচিত্রীকে দিয়ে তুলে নিতে পারেন।
নাইটিঙ্গেল পার্ক:- ম্যাল চত্বর ছাড়িয়ে আরও কিছু দূর উঁচু নিচু পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে আপনি পোছে যেতে পাবেন নইটিঙ্গেল পার্কে। দার্জিলিং ভ্রমণ বিনোদনের খুব বেশি দিন হয়নি এ পার্কটি সংযোজনের। ইজারো পাখির কলকাকলি, উঁচু স্থান থেকে সশব্দ গড়িয়ে পড়া ঝর্ণার পানির বর্ণিল আলোকচ্ছাটা এবং পুরো পার্কটিকে এমন সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যা সত্যিই মনোমুদ্ধকর। পাখির কলককালি শুনে ভবছেন পাকি কোথায়? একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন পাখির এ কলতান সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে। নাইটিঙ্গেল পার্কের সবচেয়েবড় আকর্ষণ হচ্ছে স্থানীয় গুর্খা জাতিসত্তার নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে

হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট:-পদ্মজা নাইডু জ্যুওলজিক্যাল পার্ক ও হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট একই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণের জন্য এ প্রতিষ্ঠানটির বেশ খ্যাতি রয়েছে। এখানকার মিউজিয়ামে আপনি পৃথিবীর প্রথম দুই পর্বতারোহী তেনজিং ও হিলারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘটনাবহুল ও বিখ্যাত সব পর্বতারোহী ও আরোহণের তথ্যবহুল প্রদর্শনী যেমন দেখবেন, তেমনি আপনি দেখতে পাবেন পর্বতারোহনের তথ্যবহুল প্রদর্শনী যেমন দেখবেন, তেমনি আপনি ধেকতে পাবেন পর্বতারোহণের জন্য প্রয়োজনীয় সাজ সরঞ্জাম ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রদর্শনী।
হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেন:-উঁচু পাহারের অপরূপ উপত্যকায় গড়ে তোলা হয়েছে চা বাগান। এ বাগানে এসে গাছ থেকে চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা তৈরির যাবতীয় কলাকৌশল দেখে নিতে পারেন।
টাইগার হিল:-শেষ রাত থেকে অসংখ্য জিপের সারি ও মানুষের কোলাহলে পূর্ণ হয়ে উঠে টাইগার হিল। দার্জিলিং শহর থেকে ১৩ কিমি দূরে অবস্থিত টাইগার হিল কাঞ্চনজঙ্খায় সূর্যোদয় দেখার ভিউপয়েন্ট হিসেবে খ্যাত। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৫৫৫ মিটিার উঁচুতে টাইগার হিলের ভিউপয়েন্ট থেকে পৃথিবীর ৩য় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার শুভ্রবরফের রাজ্যে সূর্যের প্রতিফলনে বহু বর্ণিল আলোর ঝালকানি দেখার জন্য টাইগার হিলে আপনাকে আসতেই হবে। পরিস্কার আকাশ থাকলে টাইগার হিল থেকে পৃথিবীর সবোচ্চ সৃঙ্গ এভারেস্টও দেখা যায়। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাবেন কিন্তু ট্রয় ট্রেনে চড়বেন না তা কী হয়? পাষ্পীয় ইঞ্জিনচালিত ন্যারো গ্যাজ লাইন দিয়ে উচ্চ পাহাড় পর্বতের কিনারা দিয়ে যখন টেওনটি চলতে থাকে এর মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞাতা আর কী হতে পারে? ট্রয় ট্রেন জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত যাতায়াত করলেও দীর্ঘ পথের সময় বাঁচাতে আপনি দার্জিলিং থেকে ‘ঘুম’ স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণ করে বিশ্ব ঐতিহ্য এ ট্রয় ট্রেনের কিছুটা রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে পারেন।
রক গার্ডেন:-দার্জিলিং থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত রক গার্ডনে কলকল ধ্বনিতে প্রবাহিত হচ্ছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। পাহাড়ের গা ঘেঁষে অনেক উঁচুতে উঠে গেছে কৃত্রিমভাবে তৈরি সিঁড়ি। বেশ সাজানো-গোছানো আয়েজন দেখতে পাবেন রক গার্ডেন এসে। পিকিনিক স্পট ডহিসেবে এটি বিখ্যাত।
গাঙ্গামায়া পার্ক:-রক গার্ডেন থেকেআরও ৩ কিমি দূরে বিশাল এক জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করে বেশ বড় এলাকা জুড়ে গড়ে তোলে হয়েছে গাঙ্গামায়া পার্ক। পার্কের ভেতর লেকে নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে অদিবাসীদের পরিবেশিত নাচ ও গানের ব্যবস্থা। স্থানীয়দের তৈরি হস্তশিল্প দোকান, খাবার ব্যবস্তা সবই আছে এখানে।
দার্জিলিং যেভাবে যাবেন:-ঢাকা থেকে দার্জিলিং যাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। বাসযোগে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে জিপযোগে দার্জিলিং। দার্জিলিং তেকে প্রত্যেকটা দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে জিপ ব্যাবহার করতে হবে। দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন মানের হোটেল হচ্ছে।
তারকামানের হোটেল দি নিউ এলগিন হোটেল, মে ফেয়ার হিল রিসোর্ট, ইত্যাদি এছাড়া হোটেল গারুদা, হোটেল সান ফ্লাওয়ার, হেপাটেল উমা, হোটেল স্বাতী, হোটেল ব্রডওয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন মানের হোটেল গোটা শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
ভ্রমনের উপযুক্ত সময়:-পুর্ণিমার রূপ যেমন অপার্থিব আনন্দ দেয়, তেমনি আধারেরও তো রূপ আছে! পরিস্কার মেঘহীন আকাশে দার্জিলিং যেমন তার রূপের ঐশ্বর্য মেলে ধরে তেমনি বর্ষার সবুজ পাহাড় ও বিশাল ঝরনাধারা অন্যরূপ দেখতে পাবেন। হিসেম্বর – জানুয়ারী শীতের তীব্রতার পাশাপাশি হয়তো তুষারপাতেরও দেখা পেতে পারেন। সমতলের মানুষের জন্য তুষারপাত দেখা দারুণ আনন্দের ব্যাপার বৈকি! দার্জিংলিং ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ সময় হচ্ছে মার্চ থেকে মে মাস এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন